ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার মহাদেশ থেকে ৬৪ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব

বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে মেসিএক্স

৬৪ দল নিয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিয়ে আলোচনা চলছে কিছুদিন ধরে। গত ৬ মার্চ ফিফা কাউন্সিলের অনলাইন সভায় এ প্রস্তাব সামনে আনেন উরুগুয়ের এক প্রতিনিধি। এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় নানামুখী আলাপ।

ফিফা বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বললেও, উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। সেফেরিন স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা বাজে পরিকল্পনা। এ প্রস্তাব আপনাদের চেয়ে আমার কাছে বেশি বিস্ময়কর।’

তবে উয়েফা সভাপতির এই আপত্তি অগ্রাহ্য করে এবার ৬৪ দেশ নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন বা কনমেবল। সংস্থাটির পক্ষে এ প্রস্তাব সামনে এনেছেন কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিনগেজ। কনমেবলের এই আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।

আরও পড়ুন

কনমেবলের ৮০তম সাধারণ কংগ্রেসে নিজের উদ্বোধনী ভাষণে দমিনগেজ বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে শতবর্ষ উদ্‌যাপনটি দারুণ কিছু হতে যাচ্ছে। কারণ, ১০০ বছর শুধু একবারই উদ্‌যাপন করার সুযোগ পাওয়া যায়। আর এই কারণেই আমরা প্রথমবারের মতো তিনটি মহাদেশে ৬৪ দল নিয়ে শতবার্ষিকী আয়োজনের প্রস্তাব দিচ্ছি।’

দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ
এএফপি

অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ুক বা না বাড়ুক, এরই মধ্যে ২০৩০ বিশ্বকাপ এখনই অনন্য মাত্রা অর্জন করেছে। কারণ, বিশ্বকাপটি আয়োজন করবে তিন মহাদেশের ছয় দেশ। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ উরুগুয়ে একটি ম্যাচ আয়োজন করবে। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে আয়োজক দেশ হিসেবে একটি করে ম্যাচ আয়োজন করবে প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনাও। আর বাকি ম্যাচগুলো হবে স্পেন, পর্তুগাল ও মরোক্কোয়।

আরও পড়ুন

এখন শেষ পর্যন্ত কনমেবলের প্রস্তাব মেনে যদি ৬৪ দেশের বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়, তাহলে এই মহাদেশ থেকে ১০টি দেশ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে। কনমেবল থেকে শুধু ভেনেজুয়েলাই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়নি। আর দল দ্বিগুণ হওয়ার কারণে বিশ্বকাপের ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১২৮–এ।

দমিনগেজ যোগ করেন, ‘এটি সব কটি দেশকে বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা যাপনের সুযোগ করে দেবে। ফলে পৃথিবীর কেউই উদ্‌যাপনের বাইরে থাকবে না।’