বিশ্বকাপের আগে অন্য রকম ‘হার’ নেইমারের
মাঠেই ছিলেন, খেলছেন পিএসজি এবং ব্রাজিলের হয়ে। তবে গত এক মাস ব্রাজিলের নির্বাচনেও ছিলেন নেইমার। ফ্রান্সে বসে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায়। টিকটক ভিডিও, টুইটার পোস্ট আর লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন জইর বলসোনারোর পক্ষে।
কিন্তু ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নেইমারের প্রচারণা কাজে লাগেনি। বলসোনারোকে হারিয়ে নির্বাচনে জিতেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।
বলসোনারোকে নেইমার প্রকাশ্যে প্রথম সমর্থন জানান সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে। সেই সময় প্রকাশ করা একটি টিকটক ভিডিওতে দেখা যায়, বলসোনারোর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার হওয়া গানে ঠোঁট মেলাচ্ছেন নেইমার। ভিডিওটি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার দেন বলসোনারো।
এরপর অনেকবারই টিকটক ও টুইটারে বলসোনারোর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন নেইমার। প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে ইউটিউবে একটি লাইভ করেছিলেন বলসোনারো।
সেখানে অংশ নিয়ে নেইমার বলেন, কাতার বিশ্বকাপে প্রথম গোল তিনি বলসোনারোকে উৎসর্গ করবেন। নির্বাচনে বলসোনারোর প্রার্থিতা নম্বর ২২। বিশ্বকাপে দুই হাত উঁচু করে ‘২২’ দেখাবেন বলে জানান। একপর্যায়ে নেইমার এমনও বলেন, তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়টিতে বলসোনারো পাশে ছিলেন।
ব্রাজিল ফুটবলে এই সময়ের জনপ্রিয় তারকা নেইমার এভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে যাওয়ায় কিছুটা বিরক্তিও প্রকাশ করেন কোচ তিতে। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কাতার বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বা পরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন না।
বলসোনারোর প্রতিদ্বন্দ্বী লুলা দা সিলভা নেইমারকে নিয়েও এর আগে কথা বলেছেন। তবে নেইমারের সমর্থনের বিষয়ে স্বার্থ আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি, ‘নেইমারের ওপর আমার ক্ষোভ নেই। সে কাকে প্রেসিডেন্ট দেখতে চায়, সেটা বলতেই পারে। তবে সে আমাকে ভয় পাচ্ছে। কারণ, আমি প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলে বলসোনারো যে ওকে আয়কর থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে, সেটা আমি খুঁজে পাব।’
রোববার ভোট গণনায় লুলা দা সিলভার সংখ্যাগরিষ্ঠতার খবর পেতেই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন নেইমার। ব্রাজিলের পতাকা হাতে আকাশের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তাকিয়ে থাকা ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘স্রষ্টা তোমার ইচ্ছে পূরণ করুক।’