ব্রাইটনের চেয়ে বাজে ম্যাচ মনে করতে পারছেন না ক্লপ
বল দখল, আক্রমণ, গোলে শট—প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুরো ম্যাচে লিভারপুলের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল ব্রাইটন। স্বাগতিকদের ১৪ শটের ৯টি ছিল লক্ষ্যে, সেখানে ব্রাইটনের গোল বরাবর লিভারপুল শটই নিতে পেরেছে দুটি।
ম্যাচ জয় তো দূরে থাক, পুরো ম্যাচেই কখনো মনেই হয়নি যে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল ব্রাইটনকে হারাতে পারে। এমন এক ম্যাচ শেষে ক্লপ তাই অকপটই স্বীকার করেছেন, এর চেয়ে খারাপ ম্যাচ তিনি মনে করতে পারছেন না। দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের দায় পুরোটাই নিজের কাঁধে নিয়েছেন এই জার্মান কোচ।
ব্রাইটনের হয়ে জোড়া গোল করেছেন সলি মার্চ। এই ইংলিশ উইঙ্গার দলের তৃতীয় গোলে সাহায্যও করেছেন। যেখানে মোহাম্মদ সালাহ, কোডি গাকপোর মতো ফুটবলাররা ছিলেন নীরব দর্শক।
এই নিয়ে লিগে টানা দুই ম্যাচ হারল লিভারপুল। ম্যাচ শেষে হতাশ ক্লপ বলেছেন, ‘খুব হতাশ। ব্রাইটনকে অভিনন্দন, এমন একটা দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের জন্য। আমরা খুবই বাজে খেলেছি। মনে করতে পারছি না, ম্যাচে আমাদের কোনো ভালো অধ্যায় ছিল কি না। এর চেয়ে খারাপ কিছু হয় না। আমি এর চেয়ে খারাপ খেলা মনে করতে পারছি না। দলের বাজে পারফরম্যান্সের দায় আমার। দলকে সঠিক পথে ফেরানোর দায়িত্বটাও আমার।’
লিগে পরপর দুই ম্যাচে তিনটি করে গোল হজম করল ক্লপের দল। গত রাউন্ডে ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে ৩-১ গোলে হেরেছিল তারা।
ব্রাইটন ম্যাচ শেষে তাই তো লিভারপুলের রক্ষণের সমালোচনা করেছেন লিভারপুলের সাবেক ফুটবলার জেমি ক্যারাঘার, ‘এই মুহূর্তে রক্ষণভাগে প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বাজে দলগুলোর একটি লিভারপুল। সৌভাগ্যক্রমে তারা একজন ভালো গোলরক্ষক পেয়েছে। অর্থাৎ পয়েন্ট তালিকায় লিভারপুলের আর নিচে নামা সম্ভব নয়।’
ব্রাইটনের বিপক্ষে অবশ্য চোটের কারণে রক্ষণের সেরা ফুটবলার ফন ডাইককে পায়নি লিভারপুল। দলও খেলেছে নতুন এক ফরমেশনে।
নতুন ফরমেশনে দল মানিয়ে নিতে পারেনি বলেই এমন বিপর্যয় বলে মনে করছেন ক্লপ, ‘আমরা নতুন একটা ফরমেশনে খেলতে চেয়েছি। আমরা কিছু মুহূর্তে ভালোও খেলেছি, ব্রাইটনকে চাপেও ফেলেছিলাম। কিন্তু বলের দখল আমরা খুব সহজেই হারিয়ে ফেলেছি। নতুন ফরমেশন কাজে লাগেনি, এর দায়টা আমার।’