কীভাবে সুইডেনের পর্যটনের ক্ষতির কারণ হলান্ড

ম্যানচেস্টার সিটি তারকা হলান্ডছবি: এএফপি

আর্লিং হলান্ডের খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছে সুইডেনের একটি জনপদ। পর্যটন এলাকা হিসেবে সুইডেনের ওই প্রদেশের বেশ খ্যাতি আছে। ইন্টারনেটে যাঁরা এ প্রদেশের পর্যটন সম্পর্কে জানতে চান বা এলাকাটির সৌন্দর্যের ছবি বা ভিডিও উপভোগ করতে চান, তাঁদের কাছে সবিনয় অনুরোধ রেখেছেন সেখানকার অধিবাসীরা। মানুষ যেন আর্লিং হলান্ডের নামের সঙ্গে প্রদেশটিকে মিলিয়ে না ফেলেন!

কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন, হলান্ডের নামের সঙ্গে সুইডেনের ওই প্রদেশের নাম মিলিয়ে ফেলার কী কারণ থাকতে পারে? মজার ব্যাপার হচ্ছে, সুইডেনের ওই প্রদেশের নাম হলান্ড! প্রদেশটিতে তিন লাখ লোকের বাস। নরওয়ের ফুটবলার হলান্ড বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লেখানোর পরই বিপাকে পড়েছে প্রদেশটি।

এ মৌসুমের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে আছেন ফুটবলার হলান্ড। ৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ডে ম্যান সিটিতে আসার পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে ২২ গোল করেছেন এই নরওয়েজিয়ান তারকা। তবে হলান্ডের এ খ্যাতি হলান্ড নামের জনপদটির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুইডিশ পর্যটন বোর্ডও বিষয়টি নিয়ে বেশ বিরক্ত।

পর্যটন এলাকা হিসেবে বিখ্যাত সুইডেনের হলান্ড
ছবি: টুইটার

‘ভিজিট হল্যান্ড’-এর পরিচালক জিমি স্যান্ডবার্গ নেটিজেনদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমরা হলান্ড (Halland)। আর সে হলান্ড (Haaland)। এখন ফুটবল ব্যক্তিত্বের জনপ্রিয়তা আমাদের অনলাইন উপস্থিতিকে অস্বস্তির মুখে ফেলেছে।’

অনলাইনে প্রদেশটি নিয়ে আগ্রহী মানুষেরা নামের ইংরেজি বানানটা আর্লিং হলান্ডের নামের বানানের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। বিশেষ করে হ্যাশট্যাগ হলান্ড লিখলে, এখন সেই প্রদেশের বদলে ম্যান সিটি ফরোয়ার্ডের তথ্য দেওয়া হচ্ছে, যা প্রদেশটির পর্যটন প্রোফাইলে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে।

নিজের হতাশার কথা জানিয়ে স্যান্ডবার্গ আরও যোগ করেন, ‘আমাদের হতাশা হচ্ছে, আমরা এখন দেখছি হলান্ডকে (প্রদেশ) প্রচারের সমস্ত প্রচেষ্টা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ভয় হচ্ছে, যদি কিছু করা না হয়, তবে আমাদের অঞ্চলের বিস্মৃত দ্বীপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি এমন একটি জায়গা হবে, যা শুধু গল্প ও প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে খুঁজে পাওয়া যায়।’

গোল করেই চলেছেন হলান্ড
ছবি: এএফপি

বিবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরও ব্যাখ্যা করে স্যান্ডবার্গ বলেছেন, ‘যখন আপনি সুইডেনের সুন্দর একটি প্রদেশ হলান্ড খুঁজতে অনলাইনে যান, তখন আপনি শুধু হলান্ডই (ফুটবলার) খুঁজে পাবেন, যখন থেকে হলান্ড ম্যানচেস্টার সিটিতে এসেছে এবং গোল করা শুরু করল। আমাদের সার্চ ইঞ্জিন ও হ্যাশট্যাগ তার উপস্থিতিতে ভরে গেছে।’

সৃষ্ট এই নামবিভ্রাট বিড়ম্বনা বাদ দিলে হলান্ডকে অবশ্য বেশ পছন্দই করেন স্যান্ডবার্গ। নিজেদের শহরে তিনি ম্যান সিটি স্ট্রাইকারকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। স্যান্ডবার্গ বলেছেন, ‘আমরা চাই, সে এখানে আসুক। প্রতিবছর অনেক নরওয়েজিয়ান মানুষ এখানে আসে। এখানে এলে তার কাছে ঘরের মতোই মনে হবে। আগামী গ্রীষ্মে হলান্ডে দেখা হবে তো, হলান্ড?’