‘জায়ান্ট কিলার’ হয়ে আবির্ভাব, বড় দলগুলোকে বিপদে ফেলেও বিদায়

প্রিমিয়ারে এসেই চমক দেখিয়ে ছিল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘফাইল ছবি: প্রথম আলো

স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ যেন ধূমকেতু! প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে ক্লাবটির গল্প শুনলে এমনটাই মনে হতে পারে। আশপাশ চমকে দিয়ে ও আলোকচ্ছটায় চোখ ধাঁধিয়ে দিয়ে আসা।

‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবে লিগের বড় দলগুলোকে পরীক্ষায় ফেললেও শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগ থেকে আবার চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে নেমেই যেতে হলো তাদের।

গত বছর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এবারই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে আগমন স্বাধীনতার। প্রথম ম্যাচেই খিলগাঁওয়ের দলটি হারিয়ে দিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে। অথচ এবারের লিগ থেকে সে দলটিই সবার আগে নেমে গেল দ্বিতীয় স্তরে।

আজ মুন্সিগঞ্জে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেখ জামালের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করায় তাদের অবনমন নিশ্চিত হয়েছে।

এবারের প্রিমিয়ার লিগ থেকে দুটি দলের অবনমন হবে। ২১ ম্যাচ খেলে স্বাধীনতার পয়েন্ট ১০। তাদের ম্যাচ বাকি আছে আরও একটি। শেষ ম্যাচে শেখ রাসেলের বিপক্ষে জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে ১৩।

অন্য দিকে অবনমন লড়াইয়ে থাকা টেবিলের ১১ নম্বর দল উত্তর বারিধারার পয়েন্ট ১৪ ও দশম স্থানে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের পয়েন্ট ১৫।

বসুন্ধরাকে হারিয়ে লিগ শুরু করেছিল স্বাধীনতা
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

অবনমন হওয়ার আগে সব বড় দলকেই ভুগিয়েছে স্বাধীনতা। তাদের দুটি জয়ের একটি হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন কিংস ও আরেকটি বর্তমানে টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকা সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে।

ড্র করে বাকি চার পয়েন্টের মধ্যে এক পয়েন্ট আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে। আজ তো টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকা শেখ জামাল ক্লাবকেও হারিয়ে দিচ্ছিল তারা।

২-১ গোলে ম্যাচটি জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল স্বাধীনতা, ম্যাচের শেষ দিকে যোগ করা সময়ে গোল খেয়ে ২-২ গোলে ড্র। আজ জিততে পারলে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অবনমন এড়ানোর লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারত তারা।

২৬ মিনিটে ইকবাল হোসেনের গোলে এগিয়ে যায় স্বাধীনতা। ৪৯ মিনিটে ২-০ করেছেন জিল্লুর রহমান। এতে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে স্বাধীনতা। তাদের সেই হাসি কেড়ে নিয়েছেন ভালিজনভ ওতাবেক ও চিওকি। ওতাবেকের গোলটি ৭০ মিনিটে আর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সমতা ফিরিয়েছেন চিওকি। এতেই নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাধীনতার অবনমন।

স্বাধীনতা ক্রীড়া সঙ্ঘ
ছবি: বাফুফে

দিনের অন্য ম্যাচে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে উত্তর বারিধারাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই হয়েছে ৫ গোল।

জোড়া গোল করেছেন স্থানীয় ফরোয়ার্ড মারাজ হোসেন ও উজবেকিস্তানের আশরো গফুরোভ। একটি করে গোল করেছেন এমফোন উদোহ, রহিম উদ্দিন ও আবিদ আহমেদ।

এই হারে ২১ ম্যাচে বারিধারার পয়েন্ট ১৪। ৩১ জুলাই শেষ ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে বারিধারা হার এড়াতে না পারলেই তাদের অবনমন নিশ্চিত।

সাইফ ও বারিধারার ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছেন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে খেলোয়াড় মাত্র একজন। ৫২ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বারিধারার সুজন বিশ্বাস। বাকি কয়েকজন ডাগআউট থেকে। ম্যাচে সাইফের কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানিসহ লাল কার্ড দেখেছেন বারিধারার ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজার।