বিদ্রোহীদের নিয়ে আগ্রহ নেই পিটার বাটলারের
অনুশীলনে যোগ দেওয়া খেলোয়াড়দের নিয়েই শুধু ভাবছেন পিটার বাটলার। বিদ্রোহীদের নিয়ে তাঁর কোনো ভাবনা নেই। আজ বিকেলে বাফুফে ভবন ছেড়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ব্রিটিশ কোচ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেসব খেলোয়াড় পেয়েছি, তাদের নিয়ে কাজ করছি। কাজ চলমান থাকবে।’
সিনিয়র খেলোয়াড়েরা অনুশীলনের বাইরে। কোচকে বর্জন করেছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে মন্তব্য চাইলে বাটলার বলেন, ‘এ বিষয়ে ধারণা নেই। আমার কোনো আগ্রহও নেই।’
আজ প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৩ জন নারী ফুটবলার অনুশীলন করেছেন বাটলারের অধীনে। ফুটবলে ১৩ জন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন হয় না। সামনে কী হবে, এ প্রশ্নে বাটলারের উত্তর, ‘অনূর্ধ্ব-২০ দলের খেলোয়াড়েরা যোগ দেবে এবং তারা দেশকে সেবা দিতে প্রস্তুত থাকবে।’
উপস্থিত সাংবাদিকেরা বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সংকট নিয়ে তাঁর মন্তব্য চাইলে কিছু না বলে গাড়িতে উঠে চলে যান বাটলার।
গত বৃহস্পতিবার সাবিনা খাতুনসহ ১৮ জন নারী খেলোয়াড় কোচ বাটলারের অধীনে অনুশীলন করবেন না বলে ঘোষণা দেন। মেয়েরা এ–ও বলেন, বাটলারকে বাদ না দিলে তাঁরা গণ–অবসরে যাবেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি বাফুফের নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার সাবিনাদের ফেরাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
মাহফুজা আজ বাফুফে ভবনের নিচে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়েদের ফেরাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অবশ্যই চাইব মেয়েরা ক্যাম্পে থাকবে, ট্রেনিং করবে এবং খেলতে যাবে। এটাই আমাদের চাওয়া। এর বাইরে আর চাওয়া নেই। সেটা নিয়ে অনবরত আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আমি চেষ্টা করেছি ওদের বোঝাতে। ওদের বলেছি, তোমরা এটা কোরো না। কারও জন্যই তা ভালো নয়, দেশের জন্যও ভালো নয়।মাহফুজা আক্তার , বাফুফের নারী কমিটির প্রধান
মাহফুজা বলেন, ‘আজও মেয়েদের সঙ্গে বসেছি। আমাদের পক্ষ থেকে যতটা বোঝানো দরকার, সেটা বুঝিয়েছি। প্রেসিডেন্টও কাজ করছেন। তিনি এরই মধ্যে একটা তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। তারা আজ মিটিংও করবে। আমার বিশ্বাস যে ভালো কিছুই হবে। খারাপ কিছু হবে না।’
মেয়েদের বোঝানোর পর তাঁরা কী বলেছেন, জানতে চাইলে মাহফুজা বলেন, ‘ওরা কিছু বলেনি। ওরা তো প্রাপ্তবয়স্ক, তা–ই না? যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ওদের আছে। আমরা এখানে কিছু বলতে পারি না। ওদের ছোটবেলায় এখানে নিয়ে এসেছি। আমি চেষ্টা করেছি ওদের বোঝাতে। ওদের বলেছি, তোমরা এটা কোরো না। কারও জন্যই তা ভালো নয়, দেশের জন্যও ভালো নয়।’