ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকেই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। এই লিগে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দলটিও অবলীলায় হেরে যেতে পারে অবনমন অঞ্চলের দলের কাছে। এমনকি মাত্র ১ পয়েন্টের জন্যও একটি দলকে শিরোপাবঞ্চিত থাকতে হয় এখানে।
কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই লিগে দল পরিচালনা করাটা কোচদের জন্য মোটেই সহজ কাজ নয়। কাজটা আসলে কতটা কঠিন, সেটা বোঝাতে গিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে তুলনা টেনেছেন টটেনহাম কোচ অ্যাঞ্জ পোস্তেকোগলু। গ্রিক এই কোচের মতে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোচিং করানো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের চেয়েও কঠিন।
প্রিমিয়ার লিগে সম্প্রতি ছাঁটাই হয়েছেন দুই কোচ গ্যারি ও’নেইল ও রাসেল মার্টিন। ব্যর্থতার দায়ে ও’নেইলকে সরিয়ে দিয়েছে উলভারহ্যাম্পটন। একই কারণে মার্টিনকে বরখাস্ত করেছে সাউদাম্পটন। কদিন আগে একইভাবে ছাঁটাই হয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ।
একের পর এক কোচ ছাঁটাই হওয়ার এই অস্থির সময়ে আজ রাতে লিগ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে টটেনহাম। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রিমিয়ার লিগের কোচদের কাজ কতটা চ্যালেঞ্জিং, সেটা নিয়ে কথা বলেছেন পোস্তেকোগলু।
পোস্তেকোগলু বলেছেন, ‘যেকোনো ধরনের চাকরির মধ্যে এখন এই কাজটি সবচেয়ে কঠিন। আপনি রাজনীতির কথা বলতে পারেন, কিন্তু এটাই (কোচিং) সবচেয়ে কঠিন কাজ। কাজের মেয়াদ এবং স্থায়িত্ব বিবেচনা করলে এই কাজ করা খুব কম জনই পারেন কোনো ধরনের দাগ ছাড়া দায়িত্ব শেষ করতে। তাঁকে (যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার) কতবার নির্বাচন করতে হয়? আমাকে প্রতি সপ্তাহে একবার করে করতে হয়। আমাদের প্রতি সপ্তাহে নির্বাচন করতে হয় এবং সেই ভোটেই থাকা বা না থাকার বিষয়টি নির্ধারিত হয়।’
এর আগে টটেনহামের বিপক্ষে হারার এক ঘণ্টার মধ্যে মার্টিনকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় সাউদাম্পটন। বিনা নোটিশে তাৎক্ষণিকভাবে কোচ ছাঁটাই নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে পোস্তেকোগলু বলেন, ‘এখন ছাঁটাই করার জন্য সকাল পর্যন্ত আর অপেক্ষা করা হয় না। সমাজে আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মানের সব ধরনের পথই যেন ভুলে বসেছি। একজন কোচ কাজ করা অবস্থাতেই আমরা তার বিকল্প হিসেবে আরেকজনের নাম ঘোষণা করে দিচ্ছি।’
একই সময়ের মধ্যে ছাঁটাই হওয়া দুই কোচকে নিয়ে পোস্তেকোগলু আরও বলেছেন, ‘গ্যারি ও রাসেল দুজনই অসাধারণ কোচ, তাদের সামনে লম্বা ভবিষ্যৎও অপেক্ষা করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের শুরুটা এমনভাবে হলো, একজন কোচের ক্যারিয়ারটা আসলে যেমন হয়। আপনি এখন দেখবেন যে কোচদের জীবনবৃত্তান্তে ২০টি ক্লাবের নাম থাকে। এমনকি সফলদের ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা যায়।’