তুরস্কে ফুটবল মাঠে ঢুকে খেলোয়াড়দের মারপিট প্রতিপক্ষ সমর্থকদের
তুরস্কের শীর্ষ লিগে চলতি মৌসুমে মারামারি আর সংঘর্ষ যেন নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। গতকালও এক ম্যাচে ত্রাবজনস্পোরের সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে ফেনেরবাচের খেলোয়াড়দের ওপর আক্রমণ করেছেন। ফেনেরবাচে ৩–২ গোলে ম্যাচ জয়ের পরপরই মাঠে ঢুকে যান স্বাগতিক ত্রাবজনস্পোরের সমর্থকেরা।
ঘটনার সময় তোলা বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, ত্রাবজনস্পোরের একদল সমর্থক মাঠে ঢুকে জয়ের উচ্ছ্বাস করতে থাকা ফেনেরবাচের খেলোয়াড়দের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ খেলোয়াড়দের মারতেও উদ্যত হন। ফেনেরবাচের খেলোয়াড়েরাও কয়েকজন সমর্থকের দিকে তেড়ে যান। এ সময় ত্রাবজনস্পোরের আরও সমর্থক মাঠে ঢুকে যান।
ভিডিওতে দেখা যায়, ফেনেরবাচের বেলজিয়ান ফুটবলার মিচি বাতসুয়াই এক সমর্থককে লাথি মারছেন। একই সময় দলটির নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় ব্রাইট ওসাই–স্যামুয়েল ঘুষি মেরেছেন ত্রাবজনস্পোরের এক সমর্থককে।
ত্রাবজনস্পোরের সমর্থকেরাও থেমে থাকেননি। এক সমর্থক কর্নার ফ্লাগ হাতে নিয়ে ফেনেরবাচের এক খেলোয়াড়কে শাসাতে থাকেন। একজন তো ফেনেরবাচের গোলকিপার দমিনিক লিভাকোভিচের মুখে ঘুষি বসিয়ে দেন।
ঘটনার পর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন এ ঘটনাকে ‘মেনে নেওয়ার মতো নয়’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে তুরস্কের ফুটবলে চলতি মৌসুমে এমন ঘটনা প্রথম নয়। গত ডিসেম্বরে আঙ্কারাগুকু ও রিজেস্পোর ম্যাচে রেফারি উমুত মেলেরকে মাঠে আক্রমণের পর এক সপ্তাহ লিগ স্থগিত ছিল।
শুধু এ মৌসুমেই নয়, তুরস্কের ফুটবলে এমন ঘটনা বছরের পর বছর ধরে ঘটে আসছে। ২০১৬ সালে ত্রাবজনস্পোরের এক সমর্থক রেফারিকে আক্রমণ করায় ম্যাচ বাতিল করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে রিজে শহর থেকে ফেনেরবাচের বাস বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে এক বন্দুকধারীর আক্রমণের শিকার হয়। ২০১৪ সালে সমর্থকেরা মাঠে নানা জিনিস ছুড়ে মারা কারণে ফেনেরবাচে ও ত্রাবজনস্পোরের ম্যাচ বিরতির সময় স্থগিত করা হয়।