ঘুরে দাঁড়ানো জয়েও রিয়াল মাদ্রিদের যে দুশ্চিন্তা

প্রথমার্ধ শেষে মৌসুমে প্রথম হারের আশঙ্কায় কাঁপছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে তখন ১-০ গোলে পিছিয়ে লস ব্লাঙ্কোসরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দেখা গেল অন্য এক রিয়ালকে। দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে কার্লো আনচেলত্তির দল। ১৫ মিনিটে মধ্যে আদায় করে নেয় দুই গোল, যা শেষ পর্যন্ত রিয়ালকে এনে দিয়েছে ২-১ গোলের স্বস্তির জয়। এ জয়ে মৌসুমে শতভাগ জয়ের ধারা অক্ষুণ্ন রাখল রিয়াল। সে সঙ্গে বার্সেলোনাকে টপকে উঠে গেল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও।

ঘরের মাঠে ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। বক্সের ভেতর অনেকটা ফাঁকা জায়গায় বল পান সোসিয়েদাদের আন্দ্রে বারেনেটেক্সা। তাঁর শট কেপা আরিজাবালাগা পরপর দুবার ঠেকিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বল শেষ পর্যন্ত জালে জড়ায় এবং এগিয়ে যায় সোসিয়েদাদ।

একটু পর আরও একবার জালে বল জড়িয়েছিল সোসিয়েদাদ। তবে অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া রিয়াল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি মিলছিল না কোনোভাবেই। এমনকি পোস্টও তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এ সময়। পিছিয়ে থেকেই শেষ পর্যন্ত যেতে হয় বিরতিতে।

তবে বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে। বক্সের একটু বাইরে থেকে উরুগুইয়ান তারকা ফেদে ভালভের্দের বুলেট গতির শট পোস্ট কাঁপিয়ে জালে জড়ালে ম্যাচে সমতায় ফেরে রিয়াল। এই গোলে ভালভের্দেকে অ্যাসিস্ট করেন ফ্রান গার্সিয়া। এরপর ৬০ মিনিটে হোসেলুর গোলেও অ্যাসিস্ট করেন গার্সিয়া। এবার বাঁ প্রান্ত দিয়ে তাঁর বাড়ানো ক্রসেই হেডে লক্ষ্যভেদ করেন অরক্ষিত হোসেলু। এই দুই গোলই শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত করে রিয়ালের শীর্ষে ওঠা জয়। যেখানে ৫ ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট এখন ১৫। ২ নম্বরে নেমে যাওয়া বার্সেলোনার পয়েন্ট ১৩।

আগের চার ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর এই ম্যাচেও সবার চোখ ছিল জুড বেলিংহামের দিকে। তবে টানা ৪ ম্যাচে ৫ গোল করার পর অবশেষে থামলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। ম্যাচে দারুণ কিছু পাসে নজর কাড়লেও পাননি কোনো গোল। একেবারে অন্তিম মুহূর্তে অবশ্য একটি গোল পেয়েও যেতে পারতেন বেলিংহাম।

কিন্তু দারুণ সেভে তাঁর প্রচেষ্টা রুখে দেন সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক অ্যালেক্স রামিরো। তাঁর গোল না পাওয়া নিয়ে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেছেন, ‘বেলিংহাম প্রতিপক্ষের বক্সে খুব বেশি ঢুকতে পারেনি। কিন্তু সে আরও একটি ভালো ম্যাচ উপহার দিয়েছে। সোসিয়েদাদের হাই ডিফেন্সিভ লাইন ভেতরে ঢোকা কঠিন করে দিয়েছিল।’

তবে শেষ পর্যন্ত জিতলেও দুশ্চিন্তা ভর করেছে আনচেলত্তির মনে। এ নিয়ে ৫ ম্যাচের ৩টিতে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে জিতল, যা মোটেই স্বস্তি দিচ্ছে না রিয়াল কোচকে, ‘আমরা ৫ ম্যাচের তিনটিতে আগে গোল খেয়েছি। ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছি ঠিকই কিন্তু আমাদের এটা ঠিক করতে হবে। শুরুতে গোল খেয়ে গেলে কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে।’