চুরি–ডাকাতি থেকে বাঁচতে হলান্ড–গ্রিলিশদের পরামর্শ ‘দার্শনিক’ গার্দিওলার

জ্যাক গ্রিলিশ এবং পেপ গার্দিওলারয়টার্স

পেপ গার্দিওলার দর্শনটা পরিষ্কার, ‘লোকে তোমার বিষয়ে যত কম জানবে, বিপদে পড়ার ঝুঁকি তত কম।’ প্রশ্ন হচ্ছে, কোন ব্যাপারে এমন মনে করেন গার্দিওলা? উত্তর হলো, চুরি-ডাকাতি। গার্দিওলা মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কম ব্যবহার করলে এমন ঘটনার শিকার হওয়ার ঝুঁকিও কমে আসে।

আরও পড়ুন

ম্যানচেস্টার সিটির এই কোচ হুট করেই সংবাদমাধ্যমকে এমন দার্শনিকসুলভ কথা বলেননি। গত বুধবার এভারটন-সিটি ম্যাচ চলাকালীন জ্যাক গ্রিলিশের বাসায় চুরি সংঘটিত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, সিটি মিডফিল্ডারের চেশায়ারের বাসায় বসে খেলা দেখছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

গ্রিলিশের বাগ্‌দত্তা সাশা অ্যাটউড, মা-বাবা, দুই বোন ও ভাই ছিলেন বাসায়। হঠাৎই ওপরের তলায় তাঁরা হট্টগোল ও কুকুরের চিৎকার শুনতে পান। আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা ‘প্যানিক বাটন’ চাপ দেন। এরপর দ্রুত লুকিয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই প্রায় এক মিলিয়ন পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা) স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় অপরাধীরা।

গার্দিওলা এরপর খেলোয়াড়দের সতর্ক করে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ওদের (গ্রিলিশ) নিরাপত্তাব্যবস্থা আছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটার শিকার হলো। এমন ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরাও এর শিকার হয়েছেন। আমি লন্ডনের ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না, তবে (সেখানে) এটা ঘটেছে। শুধু লন্ডন নয়, কাতালুনিয়া যেখানে আমার পরিবার বসবাস করে, সেখানেও এমন অনেক ঘটনা ঘটে।’

আরও পড়ুন

সিটির এই স্প্যানিশ কোচ এরপর খেলোয়াড়দের সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘এখন সাবধান থাকতে হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি থাকা যাবে না। লোকে আপনার ব্যাপারে যত কম জানবে, ততই ভালো। কী করছি, কোথায় আছি—লোকে এসব ব্যাপার জানার অপেক্ষায় থাকে।’ গার্দিওলা সামাজিক শ্রেণিবিভেদ নিয়েও কথা বলেছেন। চুরি-ডাকাতির পেছনে যে সামাজিক শ্রেণিবিভেদও বেশ বড় কারণ, তেমন ইঙ্গিত রইল তাঁর কথায়, ‘মানুষের শ্রেণির মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। একদিকে যেমন প্রচুর টাকা-পয়সাওয়ালা মানুষ, অন্যদিকে তেমনি কষ্টে দিনাতিপাত করা মানুষও আছে।’

সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলারদের বাসায় চুরি-ডাকাতি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুতে প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ওয়েস্ট হামের ডিফেন্ডার কুর্ট জুমার বাসায়ও ঘটেছিল চুরির ঘটনা। চোরেরা সে সময় জুমার বাসা থেকে নগদ এক লাখ পাউন্ড নিয়ে সটকে পড়ে। লন্ডনের বাড়িতে ডাকাতি হওয়ায় কাতার বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা গত জুলাইয়ে ডাকাতির শিকার হয়েছিলেন। এর আগে পিএসজির আরও কয়েক খেলোয়াড় চুরি-ডাকাতির শিকার হয়েছেন। থিয়াগো সিলভা, আনহেল দি মারিয়া, মাউরো ইকার্দি, দানি আলভেস, প্রেসনেল কিম্পেম্বে, এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং, মারকিনিওসদের বাসায় চুরি হয়েছে।