এমএলএস কাপ জিতে কত টাকা পেলেন মেসিরা
ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জিতেছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। রোববারের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভ্যাঙ্কুভার হোটয়াইটসক্যাপসকে মায়ামি উড়িয়ে দেয় ৩-১ গেলে। চেজ স্টেডিয়ামে হওয়া এই ফাইনাল শেষে শুরু হওয়া উদ্যাপনে এখনো মেতে আছেন মায়ামির খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা। প্রথমবারের মতো এমএলএসের সবচেয়ে বড় শিরোপা জয়ের পর উদ্যাপনটা অবশ্য এমন বাঁধভাঙাই হওয়ার কথা।
এমএলএস কাপ জিতে অবশ্য শুধু ট্রফিই নয়, বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কারও পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। সর্বশেষ অফিশিয়াল প্লে-অফ পুরস্কারের কাঠামোয় ২০২৫ সালের এমএলএস কাপ জেতা দল ৩ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা) অর্থ পুরস্কার পাবে, আর রানার্সআপ দল পাবে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারের অর্থ পুরস্কার।
ফাইনালিস্টদের বাইরে, এমএলএস এমন দলগুলোকেও পুরস্কৃত করে, যারা প্লে-অফের আগের রাউন্ডে আসতে পারে। যেমন কনফারেন্স ফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলো পেয়েছে ১ লাখ ডলার করে। আর কনফারেন্স সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দলগুলোর ঝুলিতে গেছে ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার করে।
উত্তীর্ণ হওয়া সব ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে প্লে-অফ পুরস্কার হিসেবে প্রায় ১০ লাখ ডলার বিতরণ করে এমএলএস। এই অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া পোস্ট সিজন রাউন্ডের (প্লে-অফের ধাপগুলো) আর্থিক গুরুত্বকে আরও মজবুত করে, যেখানে প্রতিটি জয় একটি দলকে।
শুধু দলকে ট্রফির কাছাকাছি নিয়ে যায় না বরং মৌসুম শেষে তাদের আয়ও বৃদ্ধি করে।
সব মিলিয়ে এমএলএস কাপ জেতা শুধু মাঠের উদ্যাপনেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এই শিরোপার সঙ্গে যুক্ত অর্থ পুরস্কার ক্লাবগুলোকে তাৎক্ষণিক আর্থিক শক্তি দেয়, যা পরবর্তী মৌসুমের নানা সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রভাব ফেলে—দল গঠন থেকে শুরু করে কৌশলগত বিনিয়োগ পর্যন্ত।
অনেক ক্লাবের জন্য, বিশেষ করে যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনো তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গড়ে তুলছে, এই অতিরিক্ত আয় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এর মাধ্যমে তারা মূল খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে পারে, নতুন খেলোয়াড় দলে ভেড়াতে পারে এবং গভীর প্লে-অফ লড়াইয়ের বাড়তি পরিচালন ব্যয় সামাল দিতে পারে।