ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচ নিয়ে এখন যদি বাজি ধরতে চান, সবচেয়ে নিরাপদ বাজি কী হবে?
উত্তরটা খুব সহজ—মার্কাস রাশফোর্ড গোল করবেন। ইউনাইটেডের ম্যাচে এটাই এখন সবচেয়ে নিয়মিত দৃশ্য। অবিশ্বাস্য ফর্মে আছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড, এই মুহূর্তে সম্ভবত ইউরোপের সবচেয়ে ফর্মে থাকা ফরোয়ার্ডই তিনি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজও দেখা গেল সেই চেনা দৃশ্য। রাশফোর্ড গোল করলেন, একটি নয়, দুটি। সঙ্গে জেডন সাঞ্চোর আরও এক গোল মিলিয়ে লেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটা ইউনাইটেড জিতল ৩-০ ব্যবধানে।
লিগে ২৪ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত তিন নম্বরে এরিক টেন হাগের দল। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ২৩ ম্যাচে ৫৪। ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানচেস্টারে সিটি।
এ মৌসুমে ২৪ ম্যাচে ১৪ গোল হলো রাশফোর্ডের, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৫ ম্যাচ গোল ২৪টি। এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগেই সর্বশেষ ১০ ম্যাচে রাশফোর্ড করেছেন ১০ গোল। অবিশ্বাস্য ফর্ম নয় তো কী! এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১৭ গোল করেছেন রাশফোর্ড। ২০১১-১২ সালে ওয়েইন রুনির (১৯) পর ঘরের মাঠে ইউনাইটেডের আর কোনো খেলোয়াড় এত গোল করতে পারেননি। মৌসুমের এখনো ঢের বাকি, লিগ ও কাপের ম্যাচ মিলিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অন্তত আরও ৯টি ম্যাচ খেলবে ইউনাইটেড। রুনির রেকর্ড রাশফোর্ড ভেঙে দেবেন, এই বাজিও তাই নিশ্চিন্তেই ধরা যায়।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে রাশফোর্ডের গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ব্রুনো ফার্নান্দেজের পাস থেকে সেই গোলটা হয়ে যায় খেলার ধারার কিছুটা বিপরীতে। শুরু থেকে ইউনাইটেডের রক্ষণে বেশ চাপিয়ে খেলছিল লেস্টার। দাভিদ দে হেয়া দারুণ কয়েকটা সেভ না করলে এগিয়ে যেতে পারত লেস্টারই। প্রথমার্ধে হার্ভি বার্নস ও কেলেচি ইহেনাচোর দুজনেই পেয়েছিলেন দারুণ সুযোগ। কিন্তু দুবারই ইউনাইটেডকে বাঁচিয়েছেন দে হেয়া।
বিরতির পর ৫৬ মিনিটে আবার রাশফোর্ডের গোল। এবার ফ্রেডের পাস থেকে। এর আগেই ৪৯ মিনিটে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের হেডে চলে যায় বারে ওপর দিয়ে। লেস্টার সিটি ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আসলে তখনই। এর মধ্যে ৬১ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের পাস থেকে সাঞ্চো ম্যাচে ইউনাইটেডের তিন নম্বর গোলটা করে লেস্টারের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ করে দেন। সাঞ্চো, ফার্নান্দেজ ও ভাউট ভেগহোর্স্টরা এর পর ব্যবধান বাড়ানোর আরও সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু লেস্টার গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড বাঁচিয়ে দিয়েছেন তাঁর দলকে।