রোনালদোর বুটের আঘাত নিয়ে যা বললেন স্লোভাক গোলরক্ষক

২০২৪ ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচে স্লোভাক গোলকিপারকে অনিচ্ছাকৃতভাবে বুট দিয়ে আঘাত করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোছবি: টুইটার

ব্রুনো ফার্নান্দেজের অসাধারণ এক ফিনিশিংয়ে ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচে স্লোভাকিয়া থেকে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে পর্তুগাল। কিন্তু শুক্রবার রাতের সেই জয়ের পরও অস্বস্তি রয়ে গেছে পর্তুগিজ শিবিরে।

আরও পড়ুন

অস্বস্তিটা ছিল অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ঘিরেই। ম্যাচের ৬২ মিনিটে স্লোভাক গোলরক্ষকের মুখে বুট দিয়ে আঘাত করে হলুদ কার্ড দেখেন রোনালদো। যে কারণে আজ রাতে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ম্যাচে খেলা হবে না তাঁর। রোনালদোর সেই ফাউল নিয়ে কয়েক দিন ধরে বেশ তর্কবিতর্ক চলছে। এবার সেই ফাউলের বর্ণনা দিয়েছেন খোদ ‘ভুক্তভোগী’ স্লোভাক গোলরক্ষক মার্তিন দুবরাভকা। বলেছেন, রোনালদোর সেই ফাউল তাঁকে আতঙ্কিত করলেও বিষয়টিকে তিনি খেলোয়াড়সুলভ দৃষ্টিতেই দেখছেন।

সেদিন ডান প্রান্ত দিয়ে আসা বলটি সুবিধাজনক জায়গাতেই পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু প্রথম শটটি ঠিকঠাকভাবে নিতে ব্যর্থ হন ‘সিআর সেভেন’। এরপর তিনি চেয়েছিলেন স্লাইড করে বল জালে জড়াতে। কিন্তু এবার বলে পা লাগাতে পারেননি। উল্টো তাঁর বুট সরাসরি গোলরক্ষক দুবরাভকার ঘাড় ও কাঁধ হয়ে আঘাত করেছে মুখে।

বিপজ্জনক এই ফাউলের পর রেফারি তাৎক্ষণিকভাবে হলুদ কার্ড দেখান রোনালদোকে। এর আগে পতুর্গালের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন রোনালদো। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচের ৮৩ মিনিটে কার্ডের খড়্গ নামে রোনালদোর ওপর। টানা দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন।

আরও পড়ুন

ওই ঘটনা কতটা ভয়াবহ ছিল, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দুবরাভকা বলেছেন, ‘কাঁধে, ঘাড়ে এবং বুকে। আমি চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করছিলাম যেন সে আমার মুখে আঘাত না করে। আমি যখন দেখলাম তার পা আমার দিকে এগিয়ে আসছে, আমি সেদিকে আর তাকায়নি। এটা এমন পরিস্থিতি যখন গোলরক্ষকেরা চোখ বন্ধ করে রাখে এবং শট ঠেকানোর চেষ্টা করে। স্ট্রাইকার হিসেবে এ ধরনের বলের দিকে সে যাবেই।’

তবে ফাউলের শিকার হওয়ায় রোনালদোকে দোষ দিতে চান না দুবরাভকা। পুরো বিষয়টিকে তিনি খেলোয়াড়সুলভ দৃষ্টিতেই দেখছেন, ‘আমি তাকে দোষারোপ করছি না। খেলায়, ফুটবলে এ ধরনের পরিস্থিতি আসবেই। আর সে আমাকে আঘাত করার বিষয়টি বুঝতে পেরেছিল। আমি ঠিক আছি কি না জিজ্ঞেস করেছিল। আমি এটা খেলোয়াড়সুলভ দৃষ্টিতেই দেখছি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমি মাথা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। আর এখন আমাদের হাতে ভিএআর আছে। এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো যুক্তি দেখি না।’

আরও পড়ুন