এমএলএস চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে যা বললেন মেসি
ইন্টার মায়ামির জয় মানেই যেন লিওনেল মেসি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ন্যাশভিলের বিপক্ষে আগের ম্যাচে মেসি গোল বা ‘অ্যাসিস্ট’ না পাওয়ায় দলও শেষ পর্যন্ত আর জিততে পারেনি। তবে আজ এমএলএস চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপক্ষে ফের ছন্দে দেখা গেছে মেসিকে। ইন্টার মায়ামির ৩–১ গোলে জয়ের পথে জোড়া ‘অ্যাসিস্ট’ করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচ হওয়ায় এই ম্যাচ নিয়ে কিছুটা চাপ ছিল ইন্টার মায়ামি শিবিরে।
আগের দিন ম্যাচটির গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছিলেন কোচ জেরার্দো মার্তিনো। এবার মেসিও বলেছেন, এই ম্যাচ দিয়ে নিজেদের অবস্থান যাচাই করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। আর শেষ পর্যন্ত দারুণভাবে চ্যালেঞ্জটা উতরে যাওয়ায় নিজের উচ্ছ্বাসের কথাও বলেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা।
ম্যাচের আগেই লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপক্ষে অপেক্ষমাণ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মেসি বলেছেন, ‘আমরা ম্যাচের আগে নিজেদের মধ্যে অনেক কথা বলেছি। আমরা কোথায় আছি, সেটা বোঝার জন্য এটা ভালো পরীক্ষা ছিল। এটা দেখতে চাইছিলাম যে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আমরা কী করতে পারি। আমরা এই ম্যাচে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফল পেয়েছি। প্রতিনিয়ত দল আরও ভালো করছে।’
ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়ে গোটা লিগকেই বদলে দিয়েছেন মেসি। তাঁর হাত ধরেই প্রথম শিরোপা (লিগস কাপ) জয়ের স্বাদ পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। উঠেছে আরেকটির (ইউএস ওপেন কাপ) ফাইনালে। এরপর পরবর্তী লক্ষ্য কী তা জানিয়ে মেসির মন্তব্য, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে একটা শিরোপা (লিগস কাপ) জিততে পেরেছি এবং একটা ফাইনালে যেতে পেরেছি। এখন লক্ষ্য হচ্ছে সেরা আটে (এমএলএসে) থাকা। আমরা উন্নতির ধারা ধরে রাখতে চাই, এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে। আর জিততে পারা বরাবরই আত্মবিশ্বাস দেয়।’
পিএসজিতে দুই বছরের খারাপ সময় পার করে এখন মায়ামিতে দারুণ আছেন মেসি। নিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মেসি বলেছেন,‘আমি শারীরিকভাবে ভালো বোধ করছি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমি খেলা চালিয়ে যেতে পারছি এবং যেভাবে সম্ভব দলকে সাহায্য করতে পারছি।’
লস অ্যাঞ্জেলেসে এদিন মেসির খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন প্রচুর দর্শক। যেখানে প্রিন্স হ্যারি, সেলেনা গোমেজ, লেব্রন জেমস এবং লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর মতো তারকারাও উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেসি বলেছেন, ‘এখানকার দর্শকেরা দারুণ। যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। খুবই কৃতজ্ঞ।’