রিয়াল–বার্সার ট্রফি কেসে আছে ‘ছোট বিশ্বকাপ’ও
খেলার মাঠে খেলা তো হয়ই, এর বাইরে হয় বিচিত্র অনেক কিছুই। মাঠে ও মাঠের বাইরের বিচিত্র সব ঘটনা নিয়েই এ আয়োজন।
২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করে ফিফা। এর আগে অবশ্য ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ ছিল ক্লাব ফুটবলে। ১৯৬০ সাল থেকেই যে প্রতিবছর ইউরোপিয়ান কাপ ও কোপা লিবার্তাদোরেস চ্যাম্পিয়নরা বিশ্বসেরা ক্লাব হতে মুখোমুখি হতো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে। ২০০০ সালে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পরও ২০০৪ সাল পর্যন্ত চালু ছিল ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই।
তবে শুধু এই দুই টুর্নামেন্টই নয়, পেকেনিয়া কোপা দেল মুন্দো বা ছোট বিশ্বকাপ নামেও একটি ক্লাব ফুটবলের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট ছিল। ১৯৫২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ১৩ বার হয়েছে সেই ছোট বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা আয়োজন করত সেই টুর্নামেন্টে। যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মতো দলও। ১৯৫২ সালে প্রথম টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের বোতাফোগোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৫৬ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয় স্প্যানিশ ক্লাবটি। ১৯৫৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় আরেক স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা।
১৯৫৫ সালে ইউরোপিয়ান কাপ শুরু হওয়ার পর গুরুত্ব হারায় এই টুর্নামেন্ট। এরপর অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ১৯৬০ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ চালুর পর মোটামুটি কোমায় চলে যায় ছোট বিশ্বকাপ। পরের ১৫ বছরে মাত্র সাতবার আয়োজনের পর চিরতরে বন্ধই হয়ে যায় ছোট বিশ্বকাপ। শেষ ছোট বিশ্বকাপ জয়ী দলটি কিন্তু আবার কোনো ক্লাব নয়, পূর্ব জার্মানি জাতীয় দল। ফাইনালে পর্তুগালের বোয়াভিস্তাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পূর্ব জার্মানরা।