মৌসুম শেষেই ডর্টমুন্ড ছাড়বেন রয়েস
চলতি মৌসুম শেষেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ছাড়বেন জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মার্কো রয়েস। এর মধ্য দিয়ে ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর ১২ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটবে। জার্মান ক্লাবটি গতকাল জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর ব্যাপারে দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে।
রয়েস ডর্টমুন্ডের একাডেমিতে বেড়ে উঠেছেন। ২০০৬ সালে ডর্টমুন্ডের একাডেমি ছেড়ে যোগ দেন রট ওয়েস আহলেন ক্লাবে। তিন বছর সেখানে কাটিয়ে আবারও ঠিকানা পাল্টান রয়েস। এবার বরুসিয়া মুনশেনগ্লাডবাখে কাটান আরও তিন বছর এবং তারপর ফিরে যান ডর্টমুন্ডে।
জার্মানির ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিতে ১২ মৌসুমে নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে যান রয়েস। ডটর্মুন্ডের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ম্যাচ (৪২৪) খেলা ফুটবলার তিনি। গোলের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৬৮)। সতীর্থদের গোল করিয়েছেন ১২৮টি।
ডর্টমুন্ডের ১১ নম্বর জার্সি এবং রয়েস যেন সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন। ৩৪ বছর বয়সী এই তারকার মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ডর্টমুন্ডেরই আরেক তারকা জেডন সাঞ্চো লিখেছেন, ‘আমাদের ১১ নম্বর জার্সিকে অবসরে পাঠানো প্রয়োজন।’
ডটর্মুন্ডের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় রয়েস বলেছেন, ‘কীভাবে শুরু করব? প্রিয় ডর্টমুন্ডের ভক্তরা, আমি দারুণ এই স্টেডিয়ামে ১২ বছর খেলার সুযোগ পেয়েছি। জীবনের অর্ধেক সময়ই আমি এই ক্লাবকে দিয়েছি। অনেক উত্থান-পতন গেছে। তবে ভালো সময়গুলোই মনে আছে। ক্লাব এবং আমি নিজের চুক্তির মেয়াদ না বাড়াতে সম্মত হয়েছি। এই ক্লাবে অনেক বছর খেলতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। এই মুহূর্তে আসলে কী বলা উচিত, সে জন্য সঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে ভক্তদের এটা বলা প্রয়োজন, সামনে আরও বড় লক্ষ্য আছে। আমরা ওয়েম্বলিতে যেতে চাই। ডর্টমুন্ডে আবারও ট্রফি নিয়ে আসতে চাই।’
ডর্টমুন্ডের হয়ে ২০১৬-১৭ ও ২০২০-২১ সালে জার্মান কাপ জিতেছেন রয়েস। বর্তমান লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ডর্টমুন্ডের দায়িত্বে থাকতে ২০১৩ সালে খেলেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। এই মৌসুমে বুন্দেসলিগা পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে থাকলেও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে ডর্টমুন্ড। পিএসজির বিপক্ষে সেমিফাইনাল প্রথম লেগ জিতেছে ১-০ গোলে। ১ জুন লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
রয়েস ডর্টমুন্ড ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্লাবটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হ্যানস-জোয়াকিম ওয়াটৎজ বলেছেন, ‘মার্কো ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। সে ডর্টমুন্ডেই জন্মেছে, আমাদের একাডেমিতে কাটিয়েছে ১০ বছর। মূল দলে খেলেছে ১২ বছর। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে তাঁর বন্ধন অসাধারণ। আমরা মার্কোর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আশা করি, অবসর নেওয়ার পর সে ডর্টমুন্ডে ফিরবে, কারণ ভূমিকা রাখার মতো প্রচুর জায়গা তার জন্য আছে এখানে।’