হলান্ডের মাইলফলকের রাতেই সিটির টানা দ্বিতীয় হার
ব্রাইটন ২ : ১ ম্যান সিটি
প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন আর্লিং হলান্ড। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে আজ রাতের ম্যাচ দিয়েই প্রিমিয়ার লিগে ১০০ ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই নরওয়েজীয় তারকা। প্রথমার্ধে গোল করে উপলক্ষটা রাঙিয়েও নেন হলান্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেননি হলান্ড, পারেনি তাঁর দল সিটিও।
ব্রাইটনের মাঠে এগিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। প্রিমিয়ার লিগে নতুন মৌসুমে তিন ম্যাচ খেলে দুটিতেই হারল সিটি। উলভসের বিপক্ষে সিটি ৪-০ গোলের জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করলেও পরের ম্যাচেই সিটি টটেনহামের কাছে হেরেছিল ২-০ গোলে।
আমেরিকান এক্সপ্রেস স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চেয়েছে সিটি। বিশেষ করে নিজের মাইলফলকের ম্যাচে প্রথম মিনিট থেকেই হলান্ড ছিলেন দারুণ তৎপর। ৯ মিনিটে তাঁর সামনে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগও এসেছিল। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই স্ট্রাইকার। ১৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ এসেছিল ব্রাইটনের সামনে। তবে কোনো রকমে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে রক্ষা করেন সিটি গোলরক্ষক জেমস ট্রাফোর্ড।
২৪ মিনিটে আবারও অল্পের জন্য গোল বঞ্চিত হন হলান্ড। এক মিনিট পর হলান্ডকে অবিশ্বাস্যভাবে গোলবঞ্চিত করেন ব্রাইটন গোলরক্ষক বার্ট ফেরব্রুগেন। পরপর তিনবার ব্যর্থ হওয়া হলান্ড অবশ্য চতুর্থ দফায় ঠিকই গোল আদায় করে নেন। ৩৪ মিনিটে ওমর মারমুশের বাড়ানো বল দারুণ ফিনিশিংয়ে জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন হলান্ড।
এর ফলে প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম ১০০ ম্যাচে রেকর্ড ৮৮ গোল হলো হলান্ডের। এর আগে লিগে প্রথম ১০০ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড ছিল নিউক্যাসল কিংবদন্তি অ্যালেন শিয়ারারের, ৭৯টি। এই রেকর্ড ভাঙা অবশ্য কোনো চমক হয়ে আসেনি। কারণ প্রথম ১০০ ম্যাচে শিয়ারারের গোলসংখ্যা তো হলান্ড ছাড়িয়ে গেছেন তাঁর ৮৮তম ম্যাচেই।
বিরতির পরও আক্রমণে এগিয়ে ছিল সিটি। তবে ব্রাইটনের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা। সুযোগ পেয়েছে ব্রাইটনও। তবে ৬২ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে ব্রাইটনের প্রচেষ্টা দারুণভাবে ঠেকিয়ে সিটিকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ট্রাফোর্ড। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৬৭ মিনিটে পেনাল্টি গোলে ম্যাচে সমতা ফেরান ব্রাইটন তারকা জেমস মিলনার। মাতেউস নুনেস বক্সের ভেতর হাত দিয়ে বল স্পর্শ করার কারণেই পেনাল্টি পেয়েছিল ব্রাইটন।
সমতা ফেরার পর ম্যাচের উত্তাপ আরও বেড়ে যায়। দুই দলই এ সময় চেষ্টা করে এগিয়ে যাওয়ার। তবে রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না কোনো দলই। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে সিটিকে আরও একবার বাঁচান গোলরক্ষক ট্রাফোর্ড। তাতে অবশ্য কোনো লাভ হয়নি। পরের মুহূর্তেই দারুণ এক আক্রমণে ব্রাইটনকে এগিয়ে দিয়ে সিটির হার নিশ্চিত করেন ব্রাহান গ্রুদা।