ফেসবুকে রিচ বাড়াতে বাংলাদেশের ফুটবলারই ভরসা
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে ৪ অক্টোবর ছিল লেস্টার সিটির সর্বশেষ ম্যাচ। সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে লেস্টার ম্যাচ জিতেছে ৩–১ গোলে। এই ম্যাচের স্কোরলাইন লেখা একটি ফটোকার্ড প্রকাশিত হয়েছে লেস্টার সিটির ফেসবুক পেজে। গত এক সপ্তাহে পোস্টটিতে প্রতিক্রিয়া (লাইক, লাভ ও অন্যান্য) হয়েছে ১১ হাজারের একটু বেশি। যা টানা ছয় দিনের সব পোস্টের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তবে গতকাল রাতে বাংলাদেশ–হংকং ম্যাচকেন্দ্রিক এক পোস্ট সব উল্টেপাল্টে দিয়েছে। হংকংয়ের বিপক্ষে ৪–৩ গোলে হারা ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম গোলটি করেন হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটি নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে হামজার বাংলাদেশের জার্সি পরিহিত একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘হংকংয়ের বিপক্ষে সূক্ষ্ম ব্যবধানের হারে বাংলাদেশের হয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেছেন হামজা।’
লেস্টার সিটির ফেসবুক পেজের এই পোস্টে প্রথম ১৭ ঘণ্টাতেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন আড়াই লাখের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী। পাশাপাশি মন্তব্য হয়েছে ৯ হাজারের বেশি, শেয়ার ১ হাজার ৬০০ বারের বেশি। লেস্টারের পেজে এত বেশিসংখ্যক প্রতিক্রিয়ার কারণ যে বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকেরা, সেটা একটু চোখ রাখলেই স্পষ্ট।
শুধু হামজার লেস্টার সিটি নয়, বাংলাদেশ–হংকং ম্যাচে গোল করা আরেক প্রবাসী ফুটবলার শমিত সোমের দলের পেজেও হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। গতকাল যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে ৩–৩ সমতা এসেছে শমিতের গোলে। তিনি খেলেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে।
শমিত যখন ঢাকায় ম্যাচ খেলছেন, কানাডায় তাঁর ক্লাব সতীর্থরা অনুশীলনে নামার অপেক্ষায়। ক্যাভালরি এফসি একটি রিল ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে টিভিতে শমিতের গোলের দৃশ্য দেখে লকার রুমে থাকা সতীর্থদের উল্লসিত হতে দেখা যায়।
গতকাল রাতে ফেসবুকে প্রকাশিত রিল ভিডিওটি আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটা পর্যন্ত দেখা হয়েছে ৩৪ লাখ বার। যা ক্যাভালরি এফসির পেজের সর্বাধিক দেখা ভিডিও। ভিডিওটি কতটা বেশি দেখা হয়েছে, তা বোঝা যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভিউ পাওয়া ভিডিওটির সঙ্গে তুলনা করলেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৮৫ হাজার বার দেখা হয়েছে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত একটি সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও। মজার বিষয় হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনটিও শমিত সোমের। এর বাইরে ক্যাভালরির পেজে থাকা বেশির ভাগ ভিডিওর ভিউই ১০ হাজারের নিচে।
শুধু বাংলাদেশ–হংকং ম্যাচে হামজা ও শমিতের গোলের কারণেই নয়, এই দুই ফুটবলারের ছবি বা ভিডিও তাঁদের ক্লাব যখন প্রকাশ করে—ব্যবহারকারীদের উপস্থিতি (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার) থাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের বেশি।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কারণে এমন চিত্র দেখা যায় আইপিএলেও। মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানদের নিয়ে দেওয়া পোস্টে অনেক বেশিই সাড়া পায় ফ্র্যাঞ্চাইজি পেজগুলো। অনেকে রসিকতা করে বলেন, ফেসবুক পেজের রিচ বাড়াতে হলে দলগুলো বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নিয়েই পোস্ট করে।