ফাইনালে আর্জেন্টিনার ‘২৭ নম্বর ফুটবলার’ আগুয়েরো

মেসিদের সঙ্গে আছেন আগুয়েরোওছ্বি: এএফপি

লিওনেল মেসির খুব ভালো বন্ধু সের্হিও আগুয়েরো। আর্জেন্টিনা দলে একসঙ্গে খেলেছেন, এটা তো সবাই জানে, যেকোনো সফরে দুজন সব সময়ই একসঙ্গে, এক কক্ষে থাকতেন। গত বছর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে কিছুটা অসময়েই খেলা ছেড়েছেন আগুয়েরো। কিন্তু তিনি এবার কাতারে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে আছেন বেশ ভালোভাবেই। তাঁকে অনেকেই আর্জেন্টিনা দলের ‘২৭ নম্বর’ ফুটবলার বলছেন।

খেলা ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় আগুয়েরো
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ম্যানচেস্টার সিটির পর্বের সফল সমাপ্তির পর ক্যারিয়ারের শেষটা রাঙাতে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন আগুয়েরো। মেসির সঙ্গে অবশ্য খেলতে পারেননি, তার আগেই মেসি বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে চলে গিয়েছিলেন। এ জন্য আক্ষেপের শেষ ছিল না আগুয়েরোর। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা সমর্থকদেরও আক্ষেপ হয়ে রইলেন। হৃদ্‌রোগ বার্সেলোনায় তাঁকে থাকতে দেয়নি। ফুটবল থেকেই অবসর নিয়ে ফেলেছেন এরপর ‘কুন’ নামে পরিচিত এই আর্জেন্টাইন তারকা।

গত বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে একটি গোল করেছিলেন আগুয়েরো
ফাইল ছবি, এএফপি

বিশ্বকাপ চলছে কাতারে। আগুয়েরো বাড়িতে বসে থাকতে পারেননি। চলে এসেছেন কাতারে। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই তিনি আছেন আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গেই। মেসি, দি মারিয়াদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা মারছেন। অনুশীলনে যোগ দিয়ে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করছেন। মোট কথা খেলোয়াড় হিসেবে না থাকলেও আর্জেন্টিনা দলকে উৎসাহ ও প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি আর্জেন্টিনা–নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের ঝগড়া থামাতে মধ্যস্থতকারীর ভূমিকাতেও দেখা গেছে তাঁকে। আর্জেন্টিনা দলের বাইরেও দোহার রাস্তায় নানাভাবে আবির্ভূত হয়েছেন আগুয়েরো, কখনো বাচ্চাদের সঙ্গে তাঁকে ছবি তুলতে দেখা গেছে। কখনো আফ্রিকান সমর্থকদের সঙ্গে নেচে–গেয়ে উল্লাস করেছেন তিনি। মোটকথা, ফুটবলহীন সময়টা বেশ ভালোই কাটছে আগুয়েরোর।

ক’দিন আগেও আর্জেন্টিনা দলের অংশ ছিলেন আগুয়েরো, আছেন এখনো
ছবি: এএফপি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় আগুয়েরো। টুইটার–ইনস্টাগ্রামে নানা মজার ভিডিও আপলোড করে যাচ্ছেন। কখনো বা আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বকাপ দলগুলির খেলার বিশ্লেষণও করতে দেখা গেছে তাঁকে। ইনস্টাগ্রামে তাঁর একটি অনুষ্ঠানে তো অতিথি হিসেবে মাঝখানে এসেছিলেন মেসি স্বয়ং। এসেছিলেন সের্হিও বুসকেটস, পেদ্রি, ফেরান তোরেসরাও।

আর্জেন্টিনার হয়ে আগের তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যই ছিলেন এবার যেন তাঁর উপস্থিতিটা আরও বেশি করে টের পাচ্ছে তাঁর দেশ।