জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক এখন ইউপি চেয়ারম্যান

গোপালগঞ্জের হরিদাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াস হোসেনছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দলের অধিনায়ক থেকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। এমন ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা দ্বিতীয়বারের মতো হলো জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইলিয়াস হোসেনের। গোপালগঞ্জের নিজের ইউনিয়ন হরিদাসপুরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

মোহামেডানের ইলিয়াস নামেই পরিচিত ছিলেন আশির দশকে। দীর্ঘদিন খেলেছেন মোহামেডানে। জাতীয় দলেরও নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৮৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইলিয়াসের গোলে থাইল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯৮৯ সালে ইসলামাবাদ সাফ গেমসে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে অধিনায়ক হিসেবে লিগ শিরোপা জিতিয়েছিলেন মোহামেডানকে।

খেলা ছেড়েছেন ১৯৯১ সালে। খেলা ছেড়ে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০৮ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচিত সদস্যও। তার অনেক আগেই অবশ্য নামের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তকমাটা যোগ করে নেন ইলিয়াস হোসেন।

১৯৮৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ইলিয়াস হোসেন দাঁড়িয়ে বাম দিক দিয়ে দ্বিতীয়
ফাইল ছবি

ফুটবলার থেকে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার প্রেক্ষাপট জানিয়ে ইলিয়াস আজ প্রথম আলোকে টেলিফোনে বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন হরিদাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর লাশ নিয়ে বাড়িতে এলে আমার খাগাইল গ্রামবাসী দাবি করে, আমি যাতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হই। গ্রামবাসীকে তখন প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছিল যে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। ১৯৯৬ সালে আমি প্রথমবার নির্বাচন করে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হই। বলতে পারেন, বাবার স্বপ্ন পূরণ এবং গ্রামবাসীর অনুরোধে প্রথমবার চেয়ারম্যান হয়েছিলাম।’

হরিদাসপুরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইলিয়াস হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ বছর চেয়ারম্যান থাকার পর আর নির্বাচন করেননি ইলিয়াস। এ নিয়ে আর ভাবেনওনি। দীর্ঘদিন পর এবার আবার নির্বাচন করেছেন। ‘গ্রামবাসী আমাকে আবার জোর করে হরিদাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিই। ২০ মার্চ নির্বাচন হয়েছে। ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে ৫২৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছি। পেয়েছি ২ হাজার ৬১৭ ভোট।’

ইলিয়াস হোসেন গোপালগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন সর্বশেষ কমিটিতে। নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো হয়নি।