প্রীতি ম্যাচে এক ভক্তকে পেনাল্টি শট নিতে দিয়েছে এভারটন

পেনাল্টি শট নিচ্ছেন এভারটনের সেই ভক্তছবি: টুইটার

গুডিসন পার্কে প্রাক্‌–মৌসুম প্রীতি ম্যাচে দিনামো কিয়েভের মুখোমুখি হয়েছিল এভারটন। ম্যাচটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘শান্তির জন্য ম্যাচ।’ এক ভক্তকে এই ম্যাচে পেনাল্টি নিতে দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।

কাল ঘরের মাঠে ম্যাচটি ৩–০ গোলে জিতেছে এভারটন। তবে ভক্তের সেই আনঅফিশিয়াল গোলটি হিসেবে ধরলে এভারটনের জয়ের ব্যবধান ৪–০। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদেই এই ম্যাচের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ম্যাচ ফর পিস।’ ডমিনিক ক্যালভার্ট–লেউইন প্রথমার্ধে এগিয়ে দেন এভারটনকে। পরে জোড়া গোল করেন ডুইট ম্যাকনেইল।

পল স্ট্রাটন নামের সেই ভক্তকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান এভারটন কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। বদলি হয়ে নামার সময় আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি স্ট্রাটন। এভারটনে ব্যাজে চুমু খাচ্ছিলেন বারবার। এই ভক্তকে আসলে সম্মান জানাতেই তাঁকে ম্যাচে এভাবে নামিয়ে দেওয়া হয়। সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা গাড়িতে করে ইউক্রেনের সীমান্তে খাবার নিয়ে যান যুদ্ধবিধ্বস্ত শরণার্থীদের জন্য।

স্ট্রাটন মাঠে নামার সময় করতালিতে মুখর ছিল গুডিসন পার্ক। পেনাল্টি শট নিতে দেওয়া হয় স্ট্রাটনকে। কিয়েভ গোলকিপার এ সময় তাঁর শট থামানোর কোনো চেষ্টা করেননি। গোল করে স্ট্রাটনের আনন্দ দেখে মনে হয়েছে, যেন প্রিমিয়ার লিগ জিতে নিয়েছেন! স্ট্রাটন পেনাল্টি নেওয়ার সময় এভারটনের প্রতিটি খেলোয়াড় তাঁকে ঘিরে ছিলেন। গোল করার পর সবাই তাঁকে অভিনন্দন জানান।

সংবাদমাধ্যম ‘লিভারপুল ইকো’ জানিয়েছে, গত মার্চ থেকে ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে যান স্ট্রাটন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘরে বসে নেটফ্লিক্সে সিরিজ দেখা ও চিপস চিবোনোর অভ্যাস পাল্টে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য পোল্যান্ডে ছুটে যান এই এভারটন ভক্ত। শরণার্থীদের সঙ্গে চারদিন ছিলেনও তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে পুলিশ ও আর্মির সাবেক কয়েকজন সহকর্মীও ছিলেন।

গোলের পর এভারটনের ব্যাজে চুমু খাচ্ছেন স্ট্রাটন
ছবি: টুইটার

ইউক্রেনের দল দিনামো কিয়েভ থেকে এ বছর এভারটনে যোগ দেন ডিফেন্ডার ভিতালি মায়কোলেঙ্কো। তাঁর অধিনায়কত্বে মাঠে নেমেছে এভারটন দল। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সব সময়ই সরব ছিলেন মায়কোলেঙ্কো। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যুদ্ধের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাশিয়ার ফুটবলার আরতেম জিউবাকে এর আগে চুপ করে থাকতে বলেছিলেন মায়কোলেঙ্কো।