নেইমার, দানিলোর পর ব্রাজিল দলে আরেক চোট

লুকাস পাকেতাছবি: এএফপি

সার্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জেতার পর ফুরফুরে মেজাজেই থাকার কথা ছিল ব্রাজিল দলের। কিন্তু খেলোয়াড়দের চোট–দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কোচ তিতেকে। সার্বিয়া ম্যাচেই চোট পেয়ে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের বাকি ম্যাচগুলো থেকে ছিটকে গেছেন দলের সেরা তারকা নেইমার। চোটে পড়েছেন ডিফেন্ডার দানিলোও। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে শোনা গেল আরেক দুঃসংবাদ। এবার চোট পেয়েছেন মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচে পাকেতা খেলতে না পারলে কে খেলবেন! তিতে অবশ্য এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি, ‘আমরা এরই মধ্যে ব্যাপারটা ঠিক করে ফেলেছি, কিন্তু ম্যাচের আগে এ নিয়ে কথা বলব না।’

আরও পড়ুন

আজ আল আরাবি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে ব্রাজিল। তবে এই অনুশীলনে গণমাধ্যমকে থাকতে দেওয়া হয়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স অবশ্য বিশেষ সূত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে, অনুশীলনে পাকেতা ছিলেন না। একে নেইমার থাকবেন না, সঙ্গে পাকেতার চোট তিতের পরিকল্পনায় বড় আঘাতই।

চোটে পড়েছেন পাকেতা
ছবি: এএফপি

পাকেতার অনুপস্থিতিতেও যদি কোচ তিতে সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ছকেই থাকেন, তাহলে পাকেতার জায়গায় খেলতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ফরোয়ার্ড রদ্রিগো।

২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার সঙ্গী হবেন ভিনিসিয়ুস, রিচার্লিসন ও রাফিনিয়ার। বিশ্বকাপ শুরুর আগে তুরিনে নেইমারের জায়গায় তিনটি অনুশীলন ম্যাচে খেলে তিতের সন্তুষ্টিই অর্জন করেছেন রদ্রিগো। দানিলোর জায়গায় আরেক রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলার এদের মিলিতাও খেলবেন।

২৪ বছর বয়সী মিলিতাও গত সেপ্টেম্বরে ঘানার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে খেলেছেন। তিনি সে ম্যাচে রক্ষণে যথেষ্টই ভরসা জুগিয়েছিলেন। তিতের অতি আক্রমণাত্মক কৌশলে মিলিতাও ব্রাজিলীয় রক্ষণের বড় ভরসা হতে পারেন। এই জায়গায় তিতে চাইলে ৩৯ বছর বয়সী অভিজ্ঞ দানি আলভেজকেও খেলাতে পারেন।

আরও পড়ুন

আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিতে বলেছেন, ‘আমি আমার হাতে থাকা খেলোয়াড়দের বিচার–বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। মিলিতাও এরই মধ্যে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। সে কেমন খেলোয়াড়, কী করতে পারে, সেটা আমাদের জানিয়ে রেখেছে। দানি আলভেজ অভিজ্ঞ, তার নেতৃত্বগুণ গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক, কাকে খেলাই আমরা...।’

তিতে আশাবাদী নেইমার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের আগেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন, ‘আশা করি নেইমার আর দানিলো, দুজনই আবার বিশ্বকাপে মাঠে নামতে পারবে।’

তিতে নিজে আশাবাদী, তবে তিনি দলের চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত মনে করেন, ‘আমি চিকিৎসক নই, টেকনিক্যাল ব্যাপারটা আমি ঠিক জানি না। সে বিষয়ে জ্ঞানও নেই। আমাকে পুরোপুরি নির্ভর করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের পরামর্শের ওপর। নেইমার যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে, সে জন্য দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টেরা।’