বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উন্মাদনার কমতি নেই। প্রিয় দল, প্রিয় ফুটবলারদের নিয়ে সবারই আছে আবেগ আর প্রত্যাশা। আছে বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক স্মৃতিও। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের বিশ্বকাপ-ভাবনা নিয়ে এই আয়োজন। আজ শুনুন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের কথা—
আপনার বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার প্রথম স্মৃতি কী?
মেহেদী হাসান মিরাজ: ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা করে বড় হয়েছি। তখন ফুটবল, ক্রিকেট সব খেলতাম। বিশ্বকাপ এলে পাড়ায় ফুটবল নিয়ে হইচই বেশি হতো। বন্ধুদের মধ্যেও কে ব্রাজিল, কে আর্জেন্টিনা, সেটা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হতো। কিন্তু তখন অতটা বুঝতাম না। না বুঝেই বিশ্বকাপের সময়টা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে মাতামাতি করতাম।
প্রথম কোন ফুটবলারের খেলা দেখে ভালো লেগেছিল?
মিরাজ: একজনের নাম বলা কঠিন। ব্রাজিলের রোনালদো আর রোনালদিনহোর কথা বলব। কাকার খেলাও ভালো লাগত। ছোটবেলায় তাঁদের খেলা খুব ভালো লাগত। ভালো লাগার একটা কারণ আছে। ওই সময় তাঁরাই ছিলেন সময়ের সেরা ফুটবলার। সবার মুখে মুখে তাঁদের কথাই শুনতাম।
এখন কোন দলের খেলা ভালো লাগে?
মিরাজ: ব্রাজিল। ছোটবেলা থেকেই আমি ব্রাজিলের সমর্থক। এলাকায় দেখতাম সবাই ব্রাজিলের পতাকা দিয়ে ছাদ ভরে ফেলত। দেখতে খুব ভালো লাগত। তখন থেকেই ব্রাজিল আমার প্রিয় দল।
প্রশ্ন :
কী মনে হচ্ছে, কারা এবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারে?
মিরাজ: এটা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে আমি যেহেতু ব্রাজিলের সমর্থক, তাই তাদের হাতেই শিরোপা দেখতে চাইব। ভালো হোক খারাপ হোক, আমি সব সময় ব্রাজিল। এবার যা দেখছি, ব্রাজিলের দলটাও ভালো। অনেকের মতে, ব্রাজিলই এবারের ফেবারিট। তাই অন্য কেউ শিরোপা জিতুক, সেটা চাইব না।
প্রশ্ন :
বিশ্বকাপের খেলা দেখা নিয়ে কোনো মজার স্মৃতি আছে?
মিরাজ: তেমন কোনো স্মৃতি মনে পড়ছে না। তবে বিশ্বকাপ এলেই এলাকায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ভাগ হয়ে খেলা হতো। নিজেরাও খেলতাম। বড় ভাইদের খেলা দেখতেও ভালো লাগত। সেগুলো সব সময়ই মজার ছিল। দর্শক হিসেবেও সে ম্যাচগুলো উপভোগ করতাম।
প্রশ্ন :
এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার কে জিততে পারেন বলে মনে হয়?
মিরাজ: লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার হলেও আমার মনে হয় তিনি ভালো করবেন। ভালো ফর্মেও আছেন। এটা হতে পারে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। সে নিশ্চয়ই স্মরণীয় করে রাখতে চাইবে বিশেষ কিছু করে।
প্রশ্ন :
আর সেরা খেলোয়াড়?
মিরাজ: লিওনেল মেসিই হতে পারেন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়।