ফুটবল থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব

সর্বশেষ ফেডারেশন কাপে দুর্দান্ত খেলেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবফাইল ছবি: প্রথম আলো

২০১৬ সালে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ দিয়ে দেশের ফুটবলে এসেছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। সে বছর রানার্সআপ হয়ে উঠে এসেছিল দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে।

২০১৭ সালে শুরু করে এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে চারটি মৌসুম খেলেছে তারা। সদ্যই শেষ হওয়া প্রিমিয়ারে তারা হয়েছে তৃতীয়। সর্বোচ্চ পর্যায়ে এটিই তাদের সেরা ফল। নতুন নতুন চিন্তাভাবনা, বড় বাজেট—দেশের ফুটবলে ভালোই ভূমিকা রাখছিল ক্লাবটি।

সেই সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবই আজ বাফুফেকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, ফুটবল থেকে সব কার্যক্রম গুটিয়ে নেবে তারা।

প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবটি পরিচালিত হয় সাইফ পাওয়ারটেক গ্রুপের অর্থায়নে।

প্রথম আলোকে তরফদার রুহুল আমিন বলেছেন, ‘ক্লাবের সঙ্গে এখন আমার তেমন সম্পৃক্ততা নেই। সাইফ পাওয়ারটেকের বোর্ড অব ডিরেক্টরদের সভায় ফুটবলে না থাকার সিদ্ধান্তটা হয়েছে।

আসলে ক্লাবের প্রতি যে সময় ব্যয় করা প্রয়োজন, সে সময় দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফুটবলের জাতীয় স্বার্থেও সেভাবে অবদান রাখা যাচ্ছে না। তাই ফুটবলীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখা হবে।’

কত দিনের জন্য স্থগিত? এমন প্রশ্নে তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘এটার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। বোর্ড পরিচালকেরা যদি মনে করেন ফেরা যায়, তখন আবার ফেরা যেতে পারে। তবে আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ ও দ্বিতীয় বিভাগে আমাদের দল খেলছে না।’

সাইফ স্পোর্টিং
ছবি: বাফুফে

সাইফ স্পোর্টিং ফুটবল থেকে গুটিয়ে নিলে দেশের ফুটবলের জন্যই ক্ষতিকর বলে মনে করছেন সবাই। প্রিমিয়ার লিগে খেলা দলগুলোর মধ্যে তারাই দেশের একমাত্র ক্লাব, যারা যুব দল গঠন করে খেলোয়াড় তৈরি করছে।

সাইফ স্পোর্টিং থেকে ক্লাব থেকে উঠে এসে বর্তমানে অনেকেই জাতীয় দলে খেলছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রিয়াদুল হাসান রাফি, ইয়াছিন আরাফাত, ফয়সাল আহমেদ, রহমত মিয়া, মারাজ হোসেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সাইফেরও অধিনায়ক।