এনজোকে চেনার জন্য গুগল করতে হয়েছিল এই সতীর্থকে

চেলসির জার্সিতে এনজো ফার্নান্দেজছবি: টুইটার

জানুয়ারির দলবদলে সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল এনজো ফার্নান্দেজের। বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স দিয়েই মূলত আলোচনায় আসেন এই আর্জেন্টাইন তরুণ। বিশ্বকাপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন এই মিডফিল্ডার।

এর পর থেকেই এনজোকে দলে টানতে মাঠে নামে ইংল্যান্ডের শীর্ষ ক্লাবগুলো। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁকে কেনার দৌড়ে এগিয়ে ছিল চেলসিই। শুরুতে এনজোকে ছাড়তে বেনফিকা রাজি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ রেকর্ড গড়ে দলে টেনে নেয় চেলসি।

আরও পড়ুন

কিন্তু যে এনজোকে ঘিরে এত মাতামাতি, বিশ্বকাপের সময় তাঁকেই নাকি চিনতেন না এক সতীর্থ। বিশ্বকাপের সময় এনজোকে চেনার জন্য নাকি গুগল করতে হয়েছিল স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেয়াকে। যদিও তখন একই ক্লাবে খেলতেন না দুজন। কুকুরেয়া চেলসিতে খেললেও তখন এনজোর ক্লাব ছিল বেনফিকা।

চেলসি ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেয়া
ছবি: টুইটার

কাতার বিশ্বকাপের সময় এনজোকে কীভাবে চিনেছিলেন, সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে কুকুরেয়া বলেছেন, ‘আমি আমার বন্ধুদের খেলা দেখতে পছন্দ করতাম। আমি আর্জেন্টিনার খেলা দেখতাম মূলত আমার বন্ধু অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের জন্য। হঠাৎ খেলা দেখতে দেখতে আমি নিজেকে বললাম, “২৪ নম্বর জার্সি পরা খেলোয়াড়টিকে ভালো লাগছে। সে খুবই ভালো।” তখন আমি ফোন হাতে নিয়ে তার সম্পর্কে খোঁজ নিলাম। আমি এটাও জানতাম না যে সে কোথায় খেলে।’

আরও পড়ুন

দুই মাস আগেও যাঁকে ঠিকঠাক চিনতেন না, এখন সেই এনজোকে সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন কুকুরেয়া। হয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে দামি (১০৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন পাউন্ড) খেলোয়াড়ও। তাঁকে নিয়ে কুকুরেয়া আরও বলেছেন, ‘আরও ম্যাচ দেখার পর, আমি পরিবার ও বন্ধুদের বলেছিলাম, তাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত সে চেলসিতেই আসছে।’

আরও পড়ুন

চেলসিতে এসে এখনো পুরোপুরি নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এনজো। কিন্তু মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা এই ফুটবলারের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই কুকুরেয়ার, ‘সে এখনো মানিয়ে নিচ্ছে। তবে এরই মধ্যে সে দারুণ কিছু ম্যাচ খেলেছে। আমরা দারুণ একজন মিডফিল্ডারকে দলে পেয়েছি।’

আরও পড়ুন