চোটাক্রান্ত মেসিকে নিয়েই আর্জেন্টিনা, নেই দি মারিয়া

আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিছবি: রয়টার্স

গত মাসে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে গিয়েই মাংসপেশির চোটে পড়েন লিওনেল মেসি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি শেষ না করেই নেমে যেতে হয় তাঁকে। এরপর লা পাজে বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও মেসিকে থাকতে হয় দর্শক হয়ে। ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়ে আটলান্টার বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি মেসি।

টরন্টোর বিপক্ষে মাঠে নামার ৩৬ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়তে হয় অস্বস্তি নিয়ে। এরপর ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালসহ এমএলএসের একাধিক ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকতে হয় মেসিকে। তাঁকে কবে দলে পাবেন, তা নিয়ে কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারেননি ইন্টার মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। প্রতিদিন মেসির অবস্থা পর্যবেক্ষণের কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন

সব মিলিয়ে মেসি এখন দুই সপ্তাহ ধরে মাঠের বাইরে আছেন। তবে চোটাক্রান্ত মেসিকে মার্তিনেজ না খেলালেও তাঁকে নিয়ে দল ঘোষণা করলেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসিকে দলে রাখলেও স্কালোনির স্কোয়াডে জায়গা হয়নি আনহেল দি মারিয়ার। চ্যাম্পিয়নস লিগে বেনফিকা-ইন্টার মিলান ম্যাচে চোটে পড়েছেন দি মারিয়া।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনা নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে ১৩ অক্টোবর ভোরে প্যারগুয়ের বিপক্ষে, আর ১৮ অক্টোবর মেসিদের প্রতিপক্ষ পেরু। এর আগে মেসির একমাত্র গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে আর্জেন্টিনা। আর দ্বিতীয় ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা পায় ৩-০ গোলের দুর্দান্ত এক জয়।

আনহেল দি মারিয়া
ছবি: রয়টার্স

এদিকে জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার আগে ইন্টার মায়ামি সামনে আরেকটি ম্যাচ আছে। তবে সিনসিনাটির বিপক্ষে সেই ম্যাচেও দর্শকের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে মেসিকে।

আর্জেন্টিনার স্কোয়াড

গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট), হুয়ান মুসো (আতালান্তা)

ডিফেন্ডার: ওয়াল্টার বেনটেজ (পিএসভি আইন্দোহোভেন), হুয়ান ফয়েথ (ভিয়ারিয়াল), গঞ্জালো মন্তিয়েল (নটিংহাম ফরেস্ট), নাহুয়েল মলিনা (আতলেতিকো মাদ্রিদ), জার্মান পেজ্জেয়া (রিয়াল বেতিস), ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (টটেনহাম), লুকাস মার্তিনেজ (ফিওরেন্তিনা), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), মার্কো পেলেগরিনো (এসি মিলান), মার্কোস আকুনিয়া (স্পোর্টিং লিসবন), নিকোলাস তালিয়াফিকো (লিওঁ), লুকাস এসকুইভেল (আথলেটিকো পারানায়েন্সে)।

মিডফিল্ডার: লিয়ান্দ্রো পারেদেস (এএস রোমা), এনজো ফার্নান্দেজ (চেলসি), গিদো রদ্রিগেজ (রিয়াল বেতিস), রদ্রিগো দি পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ), এজেকেল পালাসিওস (বায়ের লেভারকুসেন), অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (লিভারপুল), থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা), জিওভানি লো সেলসো (টটেনহাম), ব্রুনো জাপেলি (অ্যাথলেটিকো পারানায়েন্সে), কার্লোস আলাকারাজ (সাউদাম্পটন)।

ফরোয়ার্ড: পাওলো দিবালা (রোমা), লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি), হুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি), লাওতারো মার্তিনেজ (ইন্টার মিলান), ফাকুন্দো ফারাস (ইন্টার মায়ামি), লুকাস বেলটার (ফিওরেন্তিনা), আলেসান্দ্রো গারনাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইেড), নিকোলাস গঞ্জালেস (ফিওরেন্তিনা), লুকাস ওকাম্পোস (সেভিয়া)।