দুটি হ্যাটট্রিকসহ টুর্নামেন্টে মোট ৮ গোল করেছেন সাবিনা। এর চেয়েও বড় স্বীকৃতি হলো টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। সাবিনা জানালেন, বাংলাদেশে মেয়েদের ফুটবল যে এগিয়েছে, তা প্রমাণ করার একটা সংকল্প ছিল খেলোয়াড়দের।

২০১৬ সাল থেকে ৫টি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট জিতে এ পর্যায়ে উঠে এসেছেন সাবিনা–সানজিদারা। সাবিনা জানালেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা যে ফুটবলে উন্নতি করেছে, সেটা এই টুর্নামেন্টে প্রমাণ করব।’

বাংলাদেশ নারী দলের কোচ গোলাম রাব্বানী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, নেপালে যাওয়ার পর বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্তু কোচ তাঁর খেলোয়াড়দের নিয়ে যাননি। খেলা থেকে মনোযোগ সরাতে চাননি কোচ।

ফাইনাল জিতে এই মনোসংযোগের ফসল তুলে নেওয়ার পর ‘মেয়েরা এখন স্বাধীন’ বলে জানালেন কোচ। খেলোয়াড়েরা নিজেদের মতো করেই জয় উদ্‌যাপন করবেন। উৎসবটা কীভাবে হবে, তা জানালেন সাবিনাই, ‘উৎসব মাঠে কেমন হয়েছে, তা সবাই দেখেছেন। তবে এখান থেকে দেশে যাওয়ার পরই উল্লাসটা আরও বোঝা যাবে। আমরা সে জন্যই অপেক্ষা করছি।’

২০১৬ সালে সাফ ফাইনালে উঠেও পারেননি বাংলাদেশের মেয়েরা। সাবিনা জানালেন, সেই ফাইনালে হারের অতৃপ্তি মেটানোর ভাবনাটা তাঁর মনে কাজ করেনি।

বরং আরও বড় কিছু ভেবে রেখেছিলেন সাবিনা, ‘স্বপ্ন ছিল দক্ষিণ এশিয়ার টুর্নামেন্টটি নিজেদের ঘরে তুলব। সেটা ২০২২ সালে এসে করতে পেরেছি। বিশেষ করে দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছি, বাংলাদেশের মানুষ নারী ফুটবলের প্রতি যে এত আস্থা নিয়ে বসে আছে...গতকাল পর্যন্তও পোস্ট দেখছিলাম আর মন খারাপ হচ্ছিল যে, আমরা এই মানুষগুলোর হাসি ধরে রাখতে পারব কি না। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মনে হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের এ শিরোপাটা প্রাপ্য, এটা তাদের জন্য।’