গার্দিওলা বললেন, ‘কোচদের সুপারম্যান হওয়ার ভান করতে হয়’

ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাএএফপি

প্রিমিয়ার লিগে আজ শেষবারের মতো দেখা যাবে ইয়ুর্গেন ক্লপ বনাম পেপ গার্দিওলার দ্বৈরথ। আট বছর ধরে লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটিতে দ্বৈরথের অনবদ্য এক গল্প লিখেছেন এ দুজন। মাঠের লড়াইয়ে উত্তাপ থাকলেও বাইরে কিন্তু একে অপরের প্রতি দারুণ শ্রদ্ধাশীল। ক্লপ তো বলেই দিয়েছেন, গার্দিওলা তাঁর জীবনে দেখা সেরা কোচ। গার্দিওলাও বলেছেন, ক্লপের কাছ থেকে তিনি প্রতিনিয়ত শিখছেন।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ক্লান্তিজনিত কারণে ক্লপের বিদায় নিয়েও কথা বলেছেন গার্দিওলা। প্রতিনিয়ত উচ্চ চাহিদা কোচদের কীভাবে ক্লান্ত করে দেয়, সেটা নিয়েও নিজের মত দিয়েছেন গার্দিওলা। সব কিছুর ঊর্ধ্বে নিজের অনুভূতিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেছেন সিটি কোচ।

আরও পড়ুন

লিভারপুল ম্যাচের আগে কোচদের উত্থান–পতন নিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘কোচ হিসেবে আমাদের সবার উত্থান–পতন থাকে। বার্সেলোনায় আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং বিদায় নিই। এখানে (সিটি) শুরুতে যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি সময় ধরে আছি। ফুটবল কোচদের কাছ থেকে বেশ উচ্চ চাহিদা থাকে। সবাই আলাদাভাবে সেটা সামলায়।’

ভালো–খারাপ মিলিয়েই কোচদের জীবন উল্লেখ করে গার্দিওলা আরও বলেছেন, ‘কখনো কখনো আপনাকে ভান করতে হয় যে আপনি একজন সুপারম্যান, অতিমানব, আপনাকে নিখুঁত হতে হবে এবং সব সময় সবকিছু জিততে হবে। আপনাকে সব সময় ব্যতিক্রমী কিছু করে দেখাতে হবে। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়। আমিও আপনাদের মতো একজন। আমার খেলোয়াড়দের মতোই। ভালো মুহূর্ত আর খারাপ মুহূর্ত—দুটিই থাকবে। কিন্তু এখনকার সময়ে মানুষ বিভ্রান্ত।’

ক্লপ ও গার্দিওলা
ছবি : রয়টার্স

গার্দিওলা যোগ করেন, ‘আপনার সাফল্য থাকলে তারা বলবে, “এই মানুষটি নিখুঁত।” আপনি সাফল্য না পেলে তারা বলবে, “সে ভালো নয়।” এই ধরনের বিষয়গুলো এভাবে বিচার করা বিরক্তিকর। পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যে জানে কখন সে ক্লান্ত হবে, খুশি হবে কিংবা বিষণ্ন হবে।’

আরও পড়ুন

নিজের অনুভূতির প্রতি সৎ থাকার কথাও বলেছেন গার্দিওলা, ‘এই কাজে আমি যা শিখেছি, তা হলো নিজের অনুভূতির বিরুদ্ধে যেও না। যখন তোমার মন খারাপ, সেটা মেনে নিতে হবে এবং কাল তুমি ভালো থাকবে। যখন তুমি খুশি থাকবে, সেটা উপভোগ করো। কখনো কখনো আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কারণ—পরিবার, বন্ধুবান্ধব, ফলসহ অনেক কিছু প্রভাব থাকে।’