চার দিন আগে তাঁর একমাত্র গোলে ফেডারেশন কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। কুমিল্লায় পাওয়া সেই জয় ফেড কাপের শেষ চারে ওঠা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেছে ধানমন্ডির দলটির। মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচের নায়ক ইব্রাহিমের জোড়া গোলে আজ চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে উঠে এসেছে আবাহনী। ৭ ম্যাচে ৫ জয় ১টি করে ড্র ও হারে ১৬ পয়েন্ট তাদের।
ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত দুইয়ে থাকা রহমতগঞ্জ সপ্তম রাউন্ডে মোহামেডানের কাছে ৩-১ গোলে হেরে তিনে নেমে গেছে। পুরান ঢাকার দলটির পয়েন্ট ১৫। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে ব্রাদার্স। চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে। ৭ ম্যাচের সব কটি জিতে শীর্ষে মোহামেডান।
ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আবাহনীর প্রথম ও তৃতীয় গোল ইব্রাহিমের। দ্বিতীয় গোল এনামুল গাজীর, চতুর্থ গোল আসাদুল মিয়ার।
৪০ মিনিটে দুজনকে কাটিয়ে ইব্রাহিম বক্সে ঢুকতেই তাঁকে ফেলে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফজলে রাব্বি। রেফারির দেওয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম আবাহনী আপত্তি জানালেও তা টেকেনি। চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলকিপার মোহাম্মদ নাইমের বাঁ পাশ দিয়ে সহজে বল পাঠান জালে ইব্রাহিম। ৫২ মিনিটে দ্রতগতির আক্রমণে বাঁ দিক থেকে বক্সে আসা বল সহজেই বাঁ পায়ের প্লেসিংয়ে ২-০ করেন এনামুল।
দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি ইব্রাহিম পেয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডাররা জায়গামতো না থাকায়। ৬৬ মিনিটে আগুয়ান গোলকিপার নাঈমকে কোনো সুযোগ না দিয়ে আলতো প্লেসিংয়ে করেন ৩-০। জোড়া গোল করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ইব্রাহিম। ফেড কাপের মোহামেডানের বিপক্ষেও হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। টানা দুই ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়ে ইব্রাহিম আছেন সেরা ছন্দে।
৭১ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় আসাদুলের বাঁ পায়ের শট চট্টগ্রাম আবাহনীর এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক বদলে জালে জড়ায়, ৪-০। মাচ তখন গড়িয়েছে ৭২ মিনিটে। চার গোলর পর আবাহনী কোচ মারুফুল হক গোলকিপার মিতুল মারমাকে তুলে নেন। সুযোগ দেন মাহফুজ হাসান প্রীতমকে। বাকি সময়টা প্রীতমকে খুব একটা পরীক্ষা দিতে হয়নি পোস্টের নিচে।
লিগে ৭ ম্যাচের সব কটিই হেরেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। অবনমন বাঁচানো কঠিন হয়ে উঠছে চট্টগ্রামের দলটির জন্য।