লাল কার্ড থেকে বাঁচতে গোপন মাইক্রোফোন ব্যবহার মরিনিওর

ইতালিয়ান সিরি ‘আ’–এর এ মৌসুমে তিনবার লাল কার্ড দেখেছেন জোসে মরিনিওছবি : টুইটার

উয়েফা কনফারেন্স লিগ জয়ের পর ইউরোপা লিগের সেমিফাইনাল। জোসে মরিনিওর ছোঁয়ায় এএস রোমা পুরোপুরি বদলে যাওয়া একটা দল। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেরার দৌড়েও ভালোভাবে টিকে ছিল রোমা। দিন দশেক আগেও ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে ছিল দলটি। তবে সর্বশেষ তিন ম্যাচের একটিতে হার আর দুটিতে ড্র করে নেমে গেছে সাতে।

বিশেষ করে গত রাতে মোনৎসার সঙ্গে ১-১–এ ড্র করা ম্যাচটি বেশি ভুগিয়েছে রোমাকে। কাল যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দলটির তুর্কি রাইট-ব্যাক মেহমেত জেকি চেলিককে। এ মৌসুমে তিন-তিনবার লাল কার্ড দেখেছেন খোদ মরিনিও-ও, যা ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ ঘরোয়া লিগের কোচদের মধ্যে সর্বোচ্চ। কালও একই শঙ্কায় ছিলেন মরিনিও। তবে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে নিজেকে রক্ষা করেছেন বলে দাবি ‘স্পেশাল ওয়ান’খ্যাত কোচের।

ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মরিনিও বলেছেন, ‘শেষ ২০ মিনিট আমি দল পরিচালনা ছেড়ে দিয়েছিলাম। জানতাম, যেকোনো মুহূর্তে আমাকে লাল কার্ড দেখানো হবে। সব সময় আমার সঙ্গে এটাই হয়ে আসছে। ওই সময়টায় আমি একদম চুপ ছিলাম। স্বীকার করছি যে সঙ্গে করে মাইক্রোফোন নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি এতটা বোকা নই। নিজেকে রক্ষা করতেই হতো। প্রমাণ হিসেবে মাইক্রোফোনে সব রেকর্ড করে রেখেছি।’

সিরি ‘আ’-তে রোমার পরের ম্যাচ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে। গত রাতে হেল্লাস ভেরোনাকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে ইন্টার। শনিবার তাদের হারাতে পারলে আবার শীর্ষ চারে ফেরার সম্ভাবনা আছে রোমার। ওই ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকতে চান বলেই যেকোনো মূল্যে লাল কার্ড এড়াতে চেয়েছেন মরিনিও, ‘আমার দলের বেঞ্চের শক্তি কার্যত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। এত কিছুর পরও আমাকে চুপ থাকতে হয়েছে। কারণ, শনিবার ইন্টারের মতো বড় দলের বিপক্ষে আমার খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকতে চাই।’

দানিয়েল চিফফি মরিনিওর দেখা সবচেয়ে বাজে রেফারি
ছবি : টুইটার

ম্যাচের রেফারি দানিয়েল চিফফিকে একরকম ধুয়ে দিয়েছেন মরিনিও, ‘চিফফি আমার দেখা সবচেয়ে বাজে রেফারি। ম্যাচের ফল বদলাতে সে খুব একটা প্রভাব খাটায়নি। তবে ওর রেফারিং ছিল নিম্নমানের। কৌশলের দিক থেকে সে ভয়ানক, যথেষ্ট সহানুভূতিশীল নয়। ম্যাচের ৯৬ মিনিটে সে আমার দলের এমন এক খেলোয়াড়কে (জেকি চেলিক) লাল কার্ড দেখিয়েছে, যে নিজেই পড়ে গিয়েছিল। আমার মনে হয়েছে, সে মাঠে ক্লান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিল। রোমার অন্য দলগুলোর মতো ক্ষমতা নেই। আমরা চাইলেই বলতে পারি না, অমুক রেফারির অধীনে খেলব না।’

আরও পড়ুন