ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ১০ বছর নিষিদ্ধ এই আর্সেনাল
ম্যাচ পাতানোয় জড়িত থাকার অভিযোগে মন্টেনেগ্রোর ক্লাব এফকে আর্সেনাল তিভাতের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। তদন্ত শেষে গতকাল উয়েফা আর্সেনাল তিভাতকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এক খেলোয়াড় ও ক্লাব অফিশিয়ালকেও আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আলবেনিয়ার ক্লাব স্কেন্দেরবুকে ২০১৭ সালে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে এক যুগের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল উয়েফা। সেই শাস্তির পর আর্সেনাল তিভাতের পাওয়া শাস্তিটাই কোনো ক্লাবকে দেওয়া উয়েফার সবচেয়ে বড় শাস্তি।
গতকাল উয়েফা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কনফারেন্স লিগের বাছাইয়ে আর্মেনিয়ার ক্লাব আলাশকের্টের মুখোমুখি হয়েছিল আর্সেনাল তিভাত ; প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর ঘরের মাঠে ৬-১ গোলে হেরেছিল আর্সেনাল। দুটি ক্লাবের এই মুখোমুখি হওয়া নিয়ে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠার পর তদন্তে নামে উয়েফা। তদন্ত শেষে উয়েফার ডিসিপ্লিনারি কর্তৃপক্ষ (সিইডিবি) এই শাস্তি ঘোষণা করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে আর্সেনাল তিভাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো মন্তব্য পায়নি।
আলাশকের্টের বিপক্ষে সেই মুখোমুখিতে আর্সেনাল কীভাবে ম্যাচ পাতিয়েছে কিংবা টাকাপয়সা লেনদেন হয়েছে কি না, হলেও সেটা কীভাবে—এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি উয়েফা।
উয়েফার বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে ২০৩৪-৩৫ মৌসুম পর্যন্ত কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। এর পাশাপাশি মন্টেনেগ্রোর শীর্ষ লিগে দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই ক্লাবটিকে পাঁচ লাখ ইউরো জরিমানাও করা হয়।
উয়েফার বিবৃতিতে বলা হয়, শৃঙ্খলা বিধিমালার ১১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে আর্সেনাল তিভাত, যেখানে, ‘সাধারণ আদর্শিক আচরণ’ এবং ‘ম্যাচ ও প্রতিযোগিতার নৈতিকতা রক্ষা’র কথা বলা হয়েছে। ক্লাবটির খেলোয়াড় নিকোলা সেলেবিচ ও অফিশিয়াল রানকো ক্রাগোভিচকে ‘ফুটবল-সংশ্লিষ্ট যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে আজীবন নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে।
দেশের শীর্ষ লিগে জায়গা ধরে রাখতে গত বছর প্লে–অফ জেতা আর্সেনালের আরও তিন খেলোয়াড় শাস্তি পেয়েছেন। চেটকো মানোজলোভিচ, দুসান পুলেতিচ ও রাদুলে জিভকোভিচকে ১০ বছর করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উয়েফার বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আর্সেনাল তিভাতকে দেওয়া শাস্তির মেয়াদ বাড়াতে ফিফাকে অনুরোধ করা হবে।