৬৬ বছর পর জুভেন্টাসকে যে বিব্রতকর হারের স্বাদ দিল ঘুরে দাঁড়ানো সিটি

সিটির গোল উদ্‌যাপনএএফপি

বাজে একটি মৌসুম কাটানোর পর ক্লাব বিশ্বকাপকে নিজেদের ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ হিসেবে দেখছিল ম্যানচেস্টার সিটি। আগের দুই ম্যাচে জিতে প্রত্যাবর্তনের আভাসও দিয়ে রেখেছিল তারা। বিশেষ করে আল আইনের বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় জয়কে সিটির পক্ষ থেকে অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছিল।

কিন্তু সতর্কবার্তাটা যেন ঠিকঠাক পড়তে পারেনি জুভেন্টাস। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে সিটির কাছে একরকম উড়ে গেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। গতকাল রাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে সিটি ম্যাচ জিতেছে ৫-২ গোলে। এ জয়ে শেষ ষোলোয় সিটি প্রতিপক্ষ হিসেবে পেল সৌদি ক্লাব আল হিলালকে। আর জুভদের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছিল সিটি-জুভেন্টাস দুই দলই। শেষ ম্যাচটি ছিল মূলত গ্রুপ শীর্ষ হওয়ার লড়াই। কিন্তু সে লড়াইয়ে ‘তুরিনের বুড়ি’ জুভেন্টাসকে পাত্তাই দেয়নি পেপ গার্দিওলা সিটি। শুধু গোল করায় নয়, খেলার মানের দিক থেকেও যোজন দূরত্বে এগিয়ে ছিল সিটি।

আরও পড়ুন

ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে দাপুটে সিটির সামনে জুভেন্টাসকে ছোট দল বলেই মনে হচ্ছিল। ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বলের দখল রেখে ২৪টি শট নিয়ে ১১ টি লক্ষ্যে রাখে সিটি। বিপরীতে ২৩ শতাংশ বলের দখল রাখা জুভেন্টাস ৫টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ২টি। ম্যাচে জুভেন্টাস গোলরক্ষক মিকেল দি গ্রেগোরিও ৭টি সেভ করেছেন, নয়তো হারের ব্যবধান জুভেন্টাসের জন্য আরও বড় হতে পারত।

ফোডেন ও গার্দিওলা
এএফপি

এদিন ম্যাচের ৯ মিনিটে জেরেমি ডকুর গোলে এগিয়ে যায় সিটি। দুই মিনিট পর টেউন কুপমেইনার্স সমতা ফেরান জুভেন্টাসকে। এরপরও অবশ্য আর লড়াই করতে পারেনি জুভেন্টাস। ২৬ মিনিটে পিয়েরে কালুলুর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান ২-১ করে সিটি। এ ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর ৫২ মিনিটে আর্লিং হলান্ডের গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি। ৬৯ মিনিটে ফিল ফোডেন করেন সিটির হয়ে চতুর্থ গোল। আর ৭৫ মিনিটে সাভিনিও গোল করে ব্যবধান ৫-১ করেন। ৮৪ মিনিটে দুসান ভ্লাহোভিচ জুভেন্টাসের হয়ে এক গোল শোধ করে ব্যবধান ৫-২ করেন।

আরও পড়ুন

এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে গোল করতে পারেনি কোনো দল। ফলে আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিযোগিতায় ৬৬ বছর পর ৫ বা তার বেশি গোল হজম করল জুভেন্টাস। সর্বশেষ ১৯৫৮-৫৯ সালে অস্ট্রিয়ান ক্লাব ভিনারের বিপক্ষে ৭-০ গোলে হেরেছিল তারা।

ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট পেপ গার্দিওলা বলেছেন, ‘যেভাবে আমরা খেলেছি, সেটা আমার ভালো লেগেছে। বল পায়ে এবং বল ছাড়া অনেক দিন পর এমন পারফরম্যান্স দেখলাম। খেলোয়াড়েরা প্রত্যয়ী ছিল এবং শীর্ষস্থানীয় একটি দলকে হারাতে পেরে আমি আনন্দিত।’