বিশ্বের শীর্ষ ১০ আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়াম

ফুটবল মানে শুধু ২২ জন খেলোয়াড়ের মাঠের লড়াই নয়। এর সঙ্গে ভক্ত-সমর্থকদের অজস্র আবেগ ও স্মৃতি জড়িত। আর এই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে আছে বিশ্বের কিছু আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়াম, যা প্রতিটি দলের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। স্টেডিয়ামগুলো বছরের পর বছর ধরে অসংখ্য সাফল্য-ব্যর্থতা, আনন্দ-বেদনার সাক্ষী হয়ে আছে। কিছু স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যের পাশাপাশি লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আবার কিছু স্টেডিয়াম আয়োজন করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এমন ১০ বিখ্যাত ফুটবল স্টেডিয়াম নিয়েই এ আয়োজন—

১০

সিগনাল ইদুনা পার্ক | ডর্টমুন্ড, জার্মানি

সিগনাল ইদুনা পার্ক

৮১৩৬৫ দর্শক ধারণক্ষমতার সিগনাল ইদুনা পার্ক জার্মানির সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। এটি ভেস্টফালেনস্টাডিয়ন নামেও পরিচিত। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের এই মাঠ ‘হলুদ প্রাচীর’-এর জন্য সুপরিচিত, যা দাঁড়িয়ে খেলা দেখার জন্য ইউরোপের মধ্যে বড় গ্যালারি। দর্শকে টইটম্বুর থাকলে সিগনাল ইদুনা পার্ককে হলুদ সমুদ্র মনে হয়। এই স্টেডিয়াম বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বুন্দেসলিগা শিরোপা জয় ও চ্যাম্পিয়নস লিগের বেশ কয়েকটি স্মরণীয় রাতের সাক্ষী। ২০০৬ বিশ্বকাপের একটি সেমিফাইনালও হয়েছে এই মাঠে।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা | মিউনিখ, জার্মানি

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা

আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে সর্বাধুনিক ও সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ভেন্যু আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা। জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের এই স্টেডিয়াম নিঃসন্দেহে দেশটির সেরা। ২০০৫ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৭৫০২৪ জন। স্টেডিয়ামটির আকৃতি ও স্থাপত্যশৈলীর কারণে দর্শকেরা সেখানে অন্য রকম এক প্রাণবন্ত পরিবেশের সৃষ্টি করতে পারেন। বাইরের অংশে প্লাস্টিকের প্যানেল এবং মুহূর্তেই রং পরিবর্তনকারী বহির্ভাগ এই স্টেডিয়ামের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য, যা সবাইকে আকৃষ্ট করে। চ্যাম্পিয়নস লিগের দুটি ফাইনালসহ (২০১২ ও ২০২৫ সালে) বেশ কয়েকটি স্মরণীয় ম্যাচ আয়োজন করেছে এ ভেন্যু।

লা বোম্বোনেরা | বুয়েনস এইরেস, আর্জেন্টিনা

লা বোম্বোনেরা

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসে অবস্থিত লা বোম্বোনেরা ডিয়েগো ম্যারাডোনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের মাঠ। ১৯৪০ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৫৭২০০। স্থপতি হোসে লুইস দেলপিনি, ভিক্তর সুলচিচ ও রাউল বেস এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করেন। বর্তমানে লা বোম্বোনেরার অফিশিয়াল নাম স্তাদিও আলবের্তো হোসে আরমান্দো। ক্লাবটির সাবেক সভাপতি আলবের্তো আরমান্দোর নামে এ নামকরণ করা হয়েছে। তবে আকৃতিগত সাদৃশ্যের কারণে একে ‘দ্য চকলেট বক্স’ও ডাকা হয়। বোকা জুনিয়র্সের ইতিহাস ও রং লা বোম্বোনেরার স্থাপত্য ও নকশার সঙ্গে নিপুণভাবে মিশে আছে। এটি শুধু দক্ষিণ আমেরিকা নয়, বিশ্বের সবচেয়ে সরব স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে একটি। ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামের ভেতরের পরিবেশ এতটাই প্রাণবন্ত থাকে যে প্রতিপক্ষ দলের জন্য তা ভীতিকর হয়ে ওঠে। পেলে, আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, লিওনেল মেসির মতো কিংবদন্তিরাও এই মাঠে খেলেছেন।

মারাকানা স্টেডিয়াম | রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল

মারাকানা স্টেডিয়াম

ফুটবল ইতিহাসে বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে মারাকানা স্টেডিয়াম। বর্তমানে এর অফিশিয়াল নাম এস্তাদিও জার্নালিস্তা মারিও ফিলিও। ব্রাজিলের প্রথিতযশা ক্রীড়া সাংবাদিক মারিও ফিলিওর সম্মানে এই নামকরণ করা হয়েছে। দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল (১৯৫০ ও ২০১৪ সাল), তিনটি কোপা আমেরিকা ফাইনাল (১৯৮৯, ২০১৯ ও ২০২১ সাল), ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশনস কাপ ফাইনাল, ২০১৬ রিও অলিম্পিক ফুটবলের সোনার পদক নির্ধারণীসহ আরও কতশত ম্যাচের সাক্ষী এই আইকনিক স্টেডিয়াম। রিও ডি জেনিরো রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন স্টেডিয়ামটি স্থানীয় দুই ক্লাব ফ্লামেঙ্গো ও ফ্লুমিনেন্সের ঘরের মাঠ। এই দুই দলের লড়াই ‘ফ্লা-ফ্লু ডার্বি’ নামে পরিচিত। ১৯৬৩ সালে ফ্লামেঙ্গো-ফ্লুমিনেন্স ম্যাচে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬০৩ জন দর্শক মারাকানায় খেলা দেখেছেন, যা ডার্বি ম্যাচে সর্বোচ্চ উপস্থিতির বিশ্ব রেকর্ড। ১৯৫০ বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখেছেন ২ লাখের বেশি দর্শক, যা কোনো ফুটবল ম্যাচে সর্বোচ্চ উপস্থিতির রেকর্ড হিসেবে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে। সেই ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল, পরবর্তী সময়ে যা মারাকানাজো নামে পরিচিতি পেয়েছে। এ মাঠেই ২০১৬ রিও অলিম্পিক ফাইনাল জিতে প্রথমবারের মতো ফুটবলে সোনার পদক জেতে ব্রাজিল। আধুনিকায়ন করতে গিয়ে মারাকানা স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা অনেক কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে এর দর্শক ধারণক্ষমতা ৭৮৮৭৮।

অ্যানফিল্ড | লিভারপুল, ইংল্যান্ড

অ্যানফিল্ড

৬১২৭৬ দর্শক ধারণক্ষমতার অ্যানফিল্ড ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। এর লাল ও সাদা আসনগুলো ক্লাবের ঐতিহ্যের প্রতীক। সেখানকার গ্যালারিভর্তি সমর্থক লিভারপুলের জন্য দ্বাদশ খেলোয়াড়ের মতো কাজ করে, যা প্রতিপক্ষের ওপর কয়েক গুণ বেশি চাপ সৃষ্টি করে। ১৮৮৪ সালে নির্মিত অ্যানফিল্ড একসময় এভারটনের ঘরের মাঠ ছিল। ১৮৯২ সালে লিভারপুল ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্টেডিয়ামটি তারা হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য অ্যানফিল্ডের ছোটখাটো সংস্কার প্রয়োজন। তবু এটিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সান সিরো | মিলান, ইতালি

সান সিরো

৭৫৮১৭ দর্শক ধারণক্ষমতার সান সিরোকে এক নামে চেনেন সবাই। ইতালির বৃহত্তম এই স্টেডিয়ামের অফিশিয়াল নাম স্তাদিও জিউসেপ্পে মিয়াৎসা। দেশটির হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা ফরোয়ার্ড জিউসেপ্পে মিয়াৎসার নামে এ নামকরণ করা হয়েছে। মিলান শহরের বিখ্যাত দুই ক্লাব এসি মিলান ও ইন্টার মিলানের ঘরের মাঠ এটি। মিয়াৎসা এই দুই ক্লাবের হয়েই খেলেছেন। ১৯৩৪ বিশ্বকাপের একটি সেমিফাইনাল, ১৯৯০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ ছয় ম্যাচ, ১৯৮০ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজন করেছে সান সিরো। আগামী বছর স্টেডিয়ামটি ১০০তম বার্ষিকী পালন করবে। যেহেতু মাঠটি দুটি ক্লাব নিয়মিত ব্যবহার করে, তাই প্রতিনিয়ত এর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। স্টেডিয়ামটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের সংস্কার করা হয়েছিল ১৯৯০ বিশ্বকাপের আগে। এর পর থেকে খুব একটা আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। ২০৩২ সালে তুরস্কের সঙ্গে যৌথভাবে ইউরো আয়োজন করবে ইতালি। কিন্তু পুরোনো কাঠামো এবং উয়েফার মানদণ্ডের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় ভেন্যুর তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে আছে সান সিরো। তাই শিগগিরই এর পুনঃসংস্কার প্রয়োজন।

ক্যাম্প ন্যু | বার্সেলোনা, স্পেন

ক্যাম্প ন্যু

লিওনেল মেসির জাদু সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে যে মাঠে, সেটাই ক্যাম্প ন্যু। বার্সেলোনার এই দুর্গ দশক ধারণক্ষতার দিক থেকে ইউরোপের বৃহত্তম স্টেডিয়াম। সংস্কারকাজ শুরুর আগে একসঙ্গে ৯৯৩৫৪ জন দর্শক ক্যাম্প ন্যুতে বসে খেলা দেখতে পারতেন। সংস্কারকাজ শেষ হলে ক্যাম্প ন্যুর আসনসংখ্যা বেড়ে হবে ১০৫০০০, যা এটিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়ামে পরিণত করবে। ১০ আগস্ট বার্সেলোনা-কোমো হোয়ান গাম্পের ট্রফির ম্যাচ দিয়ে এই মাঠে ফুটবল ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মাঠে বার্সার ফিরতে অক্টোবর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে শতভাগ নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে। এখনো তিনতলা ও ভিআইপি জোন নির্মাণ, ছাদ স্থাপন এবং আশপাশের নগর উন্নয়ন কাজ বাকি।

ওল্ড ট্রাফোর্ড | ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড

ওল্ড ট্রাফোর্ড

‘স্বপ্নের রঙ্গমঞ্চ’ ওল্ড ট্রাফোর্ডের দর্শক ধারণক্ষমতা ৭৪৩১০। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মাঠ বিশ্বের অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত। শতাব্দীপ্রাচীন ওল্ড ট্রাফোর্ডের আছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস, যা ক্লাবটির উত্থান-পতনের সাক্ষী। ফার্গি টাইমের (শেষ মুহূর্তে গোল) জন্যও স্মরণীয় হয়ে আছে ওল্ড ট্রাফোর্ড। ১৯১০ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়াম বহু উত্তেজনাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর ম্যাচের জন্ম দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফুটো ছাদ বেয়ে বৃষ্টির পানি পড়ার দৃশ্য ও ইঁদুরের উপদ্রব ওল্ড ট্রাফোর্ডকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরেছে। মালিকপক্ষ তাই স্টেডিয়ামটিতে আমূল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ শুরু হবে সংস্কারকাজ, খরচ পড়বে ২০০ কোটি পাউন্ড। সংস্কারকাজ শেষে এর ধারণক্ষমতা হবে ১০০০০০। এর অর্থ হলো, ভেঙে ফেলার আগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে আর পাঁচ বছর খেলা দেখার সুযোগ পাবেন ফুটবলপ্রেমীরা।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যু | মাদ্রিদ, স্পেন

সান্তিয়াগো বার্নাব্যু

রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি সভাপতি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নামে বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে এটিকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করছে রিয়াল। ১৯৬৪ ইউরো, ১৯৮২ বিশ্বকাপ, এল ক্লাসিকো, চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজন করেছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, পাকো হেন্তো, রাউল গঞ্জালেস, রোনালদো নাজারিও, জিনেদিন জিদান, লুইস ফিগো, ইকার ক্যাসিয়াস, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো থেকে হালের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে—এমন তারকাদের ফুটবলশৈলীর সাক্ষী হয়ে আছে এই মাঠ। ২০২৪ সালে সর্বশেষ সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দর্শক ধারণক্ষমতা বেড়ে হয়েছে ৮৫০০০। ৪০ কোটি ইউরো খরচ করে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ছাদ, যা চাইলেই খোলা ও বন্ধ করা যায়। স্টেডিয়ামের বহির্ভাগ তৈরি করা হয়েছে রুপালি স্ল্যাট দিয়ে, যা মাঠের তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। ২০৩০ বিশ্বকাপ ফাইনাল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই হওয়ার কথা।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম | লন্ডন, ইংল্যান্ড

ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম

‘আমার কাছে ওয়েম্বলি হলো ফুটবলের প্রধান গির্জা। এটি ফুটবলের রাজধানী ও প্রাণকেন্দ্র’—ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের মাহাত্ম্য বোঝাতে কথাটি বলেছিলেন পেলে। শুধু পেলে নন, অনেকেই এটিকে ফুটবলের সবচেয়ে ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম হিসেবে বিবেচনা করেন। একসময় এর নাম ছিল এম্পায়ার স্টেডিয়াম। ইংল্যান্ড জাতীয় দল অনেক আগে থেকেই এটিকে প্রধান হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এ ছাড়া এফএ কাপ ও ইংলিশ লিগ কাপের (কারাবাও কাপ নামে পরিচিত) ফাইনাল এবং কমিউনিটি শিল্ড নিয়মিত আয়োজন করে আসছে ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম। ১৯২৩ সালে বোল্টন ওয়ান্ডারার্স ও ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডের মধ্যকার এফএ কাপ ফাইনালে রেকর্ড ১২৬০৪৭ জন দর্শক এই মাঠে উপস্থিত ছিলেন। একাধিকবার সংস্কারের পর ২০০৭ সালে একই স্থানে নতুন ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এর দর্শক ধারণক্ষমতা ৯০০০০। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ, ১৯৯৬ ও ২০২০ ইউরো, ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালসহ অসংখ্য মেগা ম্যাচ আয়োজন করেছে ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম।

বিশ্বের ১০ আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়াম

এই ১০ ভেন্যুর বাইরে মেক্সিকোর আজতেকাকে আইকনিক স্টেডিয়ামের তালিকায় রাখা যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত আজতেকার দর্শক ধারণক্ষমতা ৮৭৫২৩, যা এটিকে লাতিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ স্টেডিয়ামের স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজন এই স্টেডিয়ামের সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন। কারণ, এই দুটি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ফুটবলের দুই নক্ষত্র পেলে ও ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’-এরও সাক্ষী আজতেকা স্টেডিয়াম।