চাইলেই পাওয়া যায় মেসির অটোগ্রাফ

বিশ্বকাপের আগে অনুশীলনে মেসিছবি: এএফপি

লিওনেল স্কালোনির কোচিংয়ে অবিশ্বাস্য ছন্দ নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গেছে আর্জেন্টিনা। টানা ৩৬ ম্যাচ হারেনি দক্ষিণ আমেরিকার পরাশক্তি দলটি। দারুণ এই ছন্দ এখন বিশ্বকাপের মঞ্চে ধরে রাখার অপেক্ষা।

বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধারের এই অভিযানে স্কালোনির মূল ভরসা লিওনেল মেসি। মাঠে তো বটেই, মাঠের বাইরেও সর্বকালের অন্যতম সেরা এই তারকার গুণমুগ্ধ স্কালোনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেসির প্রশংসা করতে গিয়ে স্কালোনি বলেছেন—যেভাবে মেসি জনপ্রিয়তা সামলান, সেটা তাঁকে বিস্মিত করেছে।

সময়ের অন্যতম সেরা তারকাকে প্রতিনিয়ত ভক্ত–সমর্থকদের নানা আবদার মেটাতে হয়। তবে এসব ঘটনায় কখনো বিরক্ত হতে বা কোনো ভক্তের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে দেখা যায়নি তাঁকে। মেসির এই গুণ দারুণভাবে স্পর্শ করেছে স্কালোনিকে। আর্জেন্টাইন কোচ বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ে বাচ্চারা সহজেই আবদার করে বসে। লিও (মেসি) তাতে সাড়া দেয়। সে পা মাটিতে রেখে চলা মানুষদের অন্যতম।’

ভক্তদের মেসি কখনো নিরাশ করেন না জানিয়ে স্কালোনি আরও যোগ করেছেন, ‘রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় কেউ অটোগ্রাফ চাইলে আমি হয়তো এক, দুই বা বেশি হলে পাঁচটা দেব। তবে সেটিও কখনো কখনো। আর সে (মেসি) প্রতিদিন এবং প্রতিটি ছুটির দিনে এটি করে আসছে।’

মেসি ও স্কালোনি
ছবি: এএফপি

শুধু বাইরে নয়, মেসির ঘরের লোকজনেরও তাঁর প্রতি মুগ্ধতার শেষ নেই। স্কালোনির মতে, ‘এমন নয় যে সে আমাদের মতো করে জীবন কাটাতে পারে না। সে খাবার ঘরে গেলে সবাই তাকে দেখে, বাবুর্চি, কিটম্যান—সবাই। এ তো গেল যারা তাকে চেনে। ভাবুন, যেসব মানুষ তাকে কাছ থেকে চেনে না—৩৬৫ দিন, ২৪ ঘণ্টা ধরে তাকে এটা সামলাতে হয়। সে এটা বুঝতে পারে। সে যেভাবে এটা সামলায়, অবিশ্বাস্য। এ জন্য আমি তাকে পছন্দ করি, ভালোবাসি।’

এ সময় বিশ্বকাপে মেসির প্রতি কী বার্তা থাকবে, তা–ও বলেছেন স্কালোনি, ‘তাকে বিশ্বকাপটা উপভোগ করতে হবে। মাঠে ভালো সময় কাটাতে হবে এবং আমরা যেমনটা প্রত্যাশা করি, সেভাবেই সে খেলবে। উপভোগ করো—এই কথা ছাড়া তাকে আমাদের আর কিছু বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

দলের সতীর্থদের মধ্যেও রয়েছে মেসির দারুণ প্রভাব। স্কালোনির ভাষায়, ‘সে দলের মাঝে যা নিয়ে আসে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমি সেরাদের বিপক্ষে খেলেছি। তবে তার মতো কাউকে দেখিনি। সে দল এবং প্রতিপক্ষের মাঝে যা নিয়ে আসে, তা স্বাভাবিক ভাবনার বাইরে।’