নেপালের জালে দুই গোল দিয়ে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ

ফাইনালে দ্বিতীয় গোলের পর উল্লাস বাংলাদেশের মেয়েদের। দ্বিতীয় গোলটি করেন কৃষ্ণা (মাঝে দুই হাত উঁচিয়ে)ছবি: বাফুফে

দুর্দান্ত ফুটবল খেলেই ফাইনালে এসেছিল বাংলাদেশ। ফাইনালও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই শুরু করেছে সাবিনা খাতুনের দল। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে ২-০ গোলে।

১০ মিনিটে ফুলব্যাক সিরাত জাহানের মাঠ ছাড়া শাপেবর হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। তাঁর বদলে নামা ফরোয়ার্ড শামসুন নাহার জুনিয়র কাজের কাজটি করেছেন। নেমেই তিন মিনিট পরই মনিকা চাকমার ক্রসে বল নেপালের জালে পাঠান শামসুন নাহার।

টুর্নামেন্টে এটিই নেপালের জালে প্রথম গোল। ৪২ মিনিটে নেপালের ভুল পাস থেকে সাবিনা বল পেয়ে যান। সেই বল বাঁ পায়ের শটে ২-০ করে দেন কৃষ্ণা রানী সরকার।

গ্যালারিতে বাংলাদেশের পতাকা। প্রচুর দর্শক এসেছেন ম্যাচটি উপভোগ করতে
ছবি: বাফুফে

গত কয়েক দিনে বৃষ্টি হওয়ায় দশরথ স্টেডিয়ামের মাঠ কাদাময়। স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারছিল না দুই দলই। তবে প্রথম গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে নেপাল কিছুটা চাপ তৈরি করে বাংলাদেশের ওপর। এই সময় বাংলাদেশকে রক্ষণ কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বেশি, যা এই টুর্নামেন্টে আগে দেখা যায়নি।

কর্নার থেকে বাংলাদেশ গোলকিপার রুপনা চাকমা ঠিকভাবে বল ধরতে পারেননি। এই সময় গোললাইন সেভ হয়েছে। বড় বাঁচাই বেঁচে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু খেলার ধারার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গোলটি করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাংলাদেশ।

অসুস্থতার কারণে নেপাল দলে নেই তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সাবিত্রা ভান্ডারি। ফলে দলটির আক্রমণ কিছুটা গতি হারিয়েছে। তারপরও নিজেদের দর্শকদের সামনে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে গেছেন নেপালের মেয়েরা। কিন্তু বাংলাদেশ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। সেই সুবাদে শিরোপার সুবাসও পাচ্ছেন সাবিনা খাতুনেরা।