বিশ্বকাপ বিরতির আগে ম্যান সিটির হার
কাতার বিশ্বকাপের আগে ম্যানচেস্টার সিটির শেষ ম্যাচ ছিল এটি। জয় দিয়েই শেষটা করতে চেয়েছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। সে লক্ষ্যে এদিন শুরুর একাদশে আর্লিং হলান্ডকে নামান গার্দিওলা। গোলমেশিন হলান্ড গোল করতে পারেননি, জেতেনি ম্যানচেস্টার সিটিও। ঘরের মাঠে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে তারা হেরেছে ২-১ গোলে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ঘরের মাঠে টানা ১৬ ম্যাচ পর হারল সিটি।
কাতার বিশ্বকাপে খেলবে সিটির ১৭ জন ফুটবলার। একদিন আগেই গার্দিওলা বলেছেন, ফুটবলারদের মন পড়ে আছে বিশ্বকাপে, দেহটা ক্লাবে। ঠিক সে কারণেই ঘরের মাঠে এমন হার কি না! কারণটা যাই হোক , গার্দিওলার মুখ ভার হওয়ারই কথা। লিগ জয়ের সমীকরণে শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এই ম্যাচ।
এ ম্যাচের আগে কয়েকটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন হলান্ড। ডেভিড হোয়াইটের পর ঘরের মাঠে লিগে টানা সাত ম্যাচে গোল করার রেকর্ড ছুঁতে পারতেন ম্যান সিটির নওরেজিয়ান স্ট্রাইকার। যদিও সেটা আর হয়নি।
প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচের হিসেবে দ্রুততম ২০ গোল করার রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগও ছিল হলান্ডের সামনে। আজকের ম্যাচে গোল করতে না পারলেও এ রেকর্ড নিজের করে নিতে হলান্ডের কষ্ট হওয়ার কথা নয়। লিগে ১৩ ম্যাচে হলান্ডের গোল ১৮। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে সান্ডারল্যান্ডের কেভিন ফিলিপস ২০ গোল করেছিলেন ২১ ম্যাচে।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ম্যানচেস্টার সিটির আক্রমণভাগের ফুটবলারদের আনাগোনা, ইতিহাদে সাধারণত এমনটাই হয়। তেমনটা আজ কিছুই হয়নি। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যান সিটির ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক এদেরসনকে ব্যস্ত রাখে ব্রেন্টফোর্ডের আক্রমণভাগ।
ধারাবাহিক আক্রমণে সফলও হয় ব্রেন্টফোর্ড। পরপর কয়েকটি আক্রমণ ঠেকালেও ম্যাচের ১৫ মিনিটে ইভান টনির হেড আর আটকাতে পাারেনি এদেরসন। ১৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে না থাকার জবাবটা খুব ভালোভাবেই দিয়েছেন টনি। চলতি মৌসুমে লিগে আগে গোল করা কোনো ম্যাচেই হারেনি ব্রেন্টফোর্ড।
সিটিতে হলান্ড, ফিল ফোডেন থাকলেও তাই কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। কঠিন কাজটা করতে গিয়েই সম্ভবত তালগোল পাকিয়ে ফেলে সিটি। ফাইনাল থার্ডে গিয়ে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে শট নিতে পারছিল না তারা। এ সময় একের পর পেনাল্টির আবেদন করেন হলান্ডরা। তবে একবারও রেফারি সাড়া দেননি। গোল পেতে মরিয়া সিটি গোল পায় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। গোলার মতো শটে গোল করেন ফিল ফোডেন।
ফিল ফোডেনের গোলে ছন্দ ফিরে পায় সিটি। বিরতি থেকে ফিরে বল নিজেদের দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণ করে সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ১৫ মিনিটেই ম্যান সিটি বল দখলে রাখে প্রায় ৮৮ শতাংশ। বল দখলে রাখলেও যেভাবে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছেন হলান্ডরা, গার্দিওলার খুশি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সর্বশেষ তিন ম্যাচে গোল করা হুলিয়ান আলভারেজকে ৮৬ মিনিটে মাঠে নামান গার্দিওলা। নেমেই দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগও পেয়েছিলেন, তবে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে সময়মতো হলান্ডকে পাসটা দিতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন। গোল পেতে মরিয়া সিটি ম্যাচের যোগ করা সময়ে উল্টো গোল খেয়ে বসে। গোল করেন সেই ইভান টনি।
ম্যান সিটির হারে আর্সেনালের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ বিরতিতে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছে। উলভসের বিপক্ষে আজ রাতে আর্সেনাল হারলেও শীর্ষে থেকেই বিরতিতে যাবে মিকেল আরতেতার দল