গ্রিলিশের দাম আরও কমাল সিটি, তবু আগ্রহী নয় কোনো ক্লাব
জ্যাক গ্রিলিশ তাহলে এখন ম্যানচেস্টার সিটির বোঝাই হয়ে গেছেন! আর বোঝা যত জলদি পারা যায়, নামিয়ে ফেলাই ভালো।
কিন্তু সেটাই তো পারছে না সিটি। ইংলিশ এই মিডফিল্ডারকে বিক্রি করতে পারছে না অন্য কোনো ক্লাবের কাছে। বাধ্য হয়ে তাই গ্রিলিশের জন্য এত দিন যে দাম চাইছিল, সেটা আরও কমাতে বাধ্য হয়েছে সিটি।
ম্যানচেস্টার ইভেনিং নিউজ জানিয়েছে, এত দিন ৫-৬ কোটি পাউন্ডের কমে গ্রিলিশকে বিক্রি করতে আগ্রহী না হলেও এখন ৪ কোটি পাউন্ড পেলেই তাঁকে ছেড়ে দিতে চায় সিটিজেনরা।
অথচ ২০২১ সালে অ্যাস্টন ভিলা থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা) ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়ে গ্রিলিশ ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ব্রিটিশ ফুটবলারের তকমা লাগিয়েছিলেন গায়ে।
সিটিতে গ্রিলিশের পরের মৌসুমগুলো একেবারে খারাপ কাটেনি। তিনবার প্রিমিয়ার লিগ, একবার এফএ কাপ আর একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। ২০২২-২৩ মৌসুমে তো বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সিটির ট্রেবল জয়েই। এখন পর্যন্ত সিটির জার্সিতে ১৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন, গোল করেছেন ১৭টি।
তবে গত মৌসুম থেকে সিটির স্কোয়াডে অনিয়মিত হয়ে যান গ্রিলিশ। সর্বশেষ পেপ গার্দিওলার ক্লাব বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে তো বাদই পড়েছেন। ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচের আগেই গার্দিওলা বলেছিলেন, ‘জ্যাক দুর্দান্ত খেলোয়াড়। কিন্তু গত দুই মৌসুমে সে খুব কম খেলেছে। এটা আমারই সিদ্ধান্ত ছিল। কৌশলগত কারণ। তবে ওর দরকার নিয়মিত খেলা, যেন সে আবার নিজের পুরোনো ছন্দে ফিরতে পারে।’
সিটিতে থাকলে যে গ্রিলিশ নিয়মিত খেলতে পারবেন না, সেটাও সোজাসোজিই বলে দিয়েছিলেন গার্দিওলা, ‘তার এবং ক্লাবের মধ্যে এ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ওর এখানে না থাকাটাই ভালো হবে।’
এর মধ্যে আবার ফরাসি মিডফিল্ডার রায়ান শারকিকে কিনেছে সিটি। ফলে গার্দিওলার একাদশে ঢোকা আরও কঠিন হয়ে যাবে গ্রিলিশের জন্য। সব মিলিয়ে শোনা যাচ্ছে, নতুন মৌসুম শুরুর আগেই গার্দিওলা গ্রিলিশকে বিক্রি করে দিতে চান। সেটা সম্ভব না হলে অন্তত ধারে পাঠানোর চেষ্টা করবেন, যদি ভবিষ্যতে কেনার প্রতিশ্রুতি থাকে।
গ্রিলিশও এ বাস্তবতা জানেন। তিনিও নতুন ক্লাবের খোঁজে আছেন। কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, সিটির একসময়ের সতীর্থ ও বন্ধু কেভিন ডি ব্রুইনা নাপোলিতে যোগ দেওয়ার পর গ্রিলিশকেও সেখানে নিয়ে যেতে চাইছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সিটিতে সপ্তাহে তিন লাখ পাউন্ড বেতন পান গ্রিলিশ, নাপোলি হয়তো এর অর্ধেকও দিতে পারবে না!
তবে ইংল্যান্ড দলে নিজের জায়গা ফিরে পেতে এবং ২০২৬ বিশ্বকাপের দলে ঢোকার জন্য গ্রিলিশ নাকি নিজের বেতন কমাতেও রাজি। এখন দেখার অপেক্ষা, ৪ কোটি পাউন্ড দিয়ে নাপোলি শেষ পর্যন্ত গ্রিলিশকে কিনতে পারে কি না।
এদিকে সিটির প্রতিবেশী ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের উইঙ্গার মার্কাস রাশফোর্ডকে ছেড়ে দিতে চাইছে, যাঁর বাজারদর গ্রিলিশের প্রায় কাছাকাছি। ফলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, রাশফোর্ড চলে গেলে ইউনাইটেড হয়তো গ্রিলিশের দিকে হাত বাড়াতে পারে। সেটা হলে হয়তো গ্রিলিশকেও বেতনে খুব বেশি ছাড় দিতে হবে না।