নেইমার–কুতিনিওরা কী নিয়ে আন্দোলনে নামলেন

ব্রাজিলিয়ান লিগের ফুটবলাররা অনলাইনে প্রতিবাদমূলক একটি প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রাকৃতিক ঘাসের বদলে কৃত্রিম টার্ফে খেলার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছেন খেলোয়াড়েরা। নেইমার, থিয়াগো সিলভা, মেম্ফিস ডিপাই, ফিলিপ কুতিনিওরা যোগ দিয়েছেন এই কর্মসূচিতে।

আরও পড়ুন

গতকাল অনলাইনে সবাই একই বিবৃতি পোস্ট করেন। কৃত্রিম ঘাসের মাঠে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার হার বাড়ছে বলে মনে করেন খেলোয়াড়েরা। সান্তোস তারকা নেইমারের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে পোস্ট করা সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ব্রাজিলিয়ান ফুটবল যে পথে হাঁটছে তা উদ্বেগজনক। খেলাটিতে আমাদের ব্যাপ্তি এবং প্রতিনিধিত্ব যতটা, তাতে এ প্রশ্নই ওঠা উচিত নয়। বিশ্বের সেরা লিগগুলোয় খেলোয়াড়দের কথা শোনা হয় এবং মাঠ ও স্টেডিয়ামে বিনিয়োগ করা হয়। বাজে মাঠের সমাধান হলো ভালো মাঠ বানানো। ফুটবল প্রাকৃতিক, কৃত্রিম নয়।’ এই বিবৃতির শেষ কথায় লেখা হয়, ‘পেশাদার ফুটবল কৃত্রিম ঘাসে খেলা হয় না।’

সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে এ মাসেই সান্তোসে ফিরেছেন নেইমার। নেদারল্যান্ডসের ফুটবলার মেম্ফিস ডিপাই খেলেন করিন্থিয়ান্সে, থিয়াগো সিলভা ফ্লুমিনেন্সে।

আরও পড়ুন

ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের কিছু ক্লাব স্টেডিয়ামের বহুমুখী ব্যবহারে কৃত্রিম ঘাস ব্যবহার করে মাঠে। এতে যেকোনো ব্যবহারেই মাঠের ক্ষতি কম হয়। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বোতাফোগো, পালমেইরাস ও অ্যাথলেটিকো পারানায়েনসের মাঠ কৃত্রিম ঘাসে বানানো। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, চোট থেকে ফেরা কিংবা তারকা খেলোয়াড়েরা এসব ক্লাবের মাঠে ম্যাচ বয়কট করতে পারেন।

ফ্লুমিনেন্সের ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা
থিয়াগো সিলভার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

পালমেইরাসের বিবৃতিতে বলা হয়, কৃত্রিম ঘাসের মাঠ নিয়ে অভিযোগ বিজ্ঞানভিত্তিক নয় এবং মেকি। ক্লাবটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তাদের মাঠ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা অনুমোদিত এবং ২০২০ সাল থেকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, ‘প্রাকৃতিক ঘাসের মাঠের স্থিতিমাপ অনুযায়ীই এই মাঠ (কৃত্রিম ঘাসের) বানানো হয়েছে।’ ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) নিয়মের অধীনেও কৃত্রিম ঘাসের মাঠ দেশটিতে অনুমোদিত।