ক্যামেরায় নিজের চেহারা দেখাতে ছেত্রীকে ঠেলে সরালেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল

ভারত জাতীয় দল ও বেঙ্গালুরু এফসির অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীফাইল ছবি

ভারত ফুটবল দল ও বেঙ্গালুরু এফসির অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় ‘ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে’, এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল লা গণেশানকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ২০২২ সালের ডুরান্ড কাপ ফাইনালের পর ঘটেছে এ ঘটনা।

কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গন বা সল্টলেক স্টেডিয়ামে ১৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনালে মুম্বাই সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ডুরান্ড কাপের শিরোপা জিতেছে বেঙ্গালুরু এফসি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ট্রফি দেওয়ার সময় ছেত্রীকে কাঁধে হাত দিয়ে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন লা গণেশান, এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে এরপর। ক্যামেরায় ঠিকমতো আসছেন না, এমন কারণেই লা গণেশান এমন করেছেন বলে বোঝা যায়। শুরুতে দুই হাত বাড়িয়ে ট্রফি নিতে উদ্যত ছেত্রী এরপর সরে যান, এক হাত দিয়ে শুধু ট্রফিটা ছুঁয়ে পোজ দেন।

আরও পড়ুন

এই ভিডিও রিটুইট করে এরপর সাবেক ভারত ওপেনার আকাশ চোপড়া লেখেন, ‘লজ্জাজনক’। প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সাবেক ভারত ব্যাটসম্যান রবি উথাপ্পাও। তিনি লিখেছেন, ‘এর পুরোটাই আসলে ভুল!! দুঃখিত সুনীল ছেত্রী। আপনার এর চেয়ে অনেক ভালো কিছু প্রাপ্য।’

শুধু ছেত্রী নন, এর আগে একই অনুষ্ঠানে আরেক ফুটবলারের সঙ্গেও এমন কাজ করেছেন অন্য এক অতিথি। টুইটারে পাওয়া আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, ফাইনালে প্রথম গোল করা শিবশক্তি নারায়ণনকে প্রায় একইভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

ছেত্রীর সঙ্গে এমন কাণ্ডের পর ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের প্রসঙ্গও আসছে টুইটারে। ফাইনালে লম্বা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় তখনকার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও সরকারের মন্ত্রী শারদ পাওয়ারকে দ্রুত ট্রফি হস্তান্তর করতে বলছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক রিকি পন্টিং, দেখা গিয়েছিল এমন। ট্রফি পাওয়ার পর উদ্‌যাপন শুরু করার আগে পাওয়ারকে ঠেলে দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত করতেও দেখা যায় অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যদের।

সে সময় অস্ট্রেলিয়া দলের এমন আচরণের বেশ সমালোচনা করেছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়, এমন বলেছিলেন শচীন টেন্ডুলকারও। অবশ্য ঘটনাটিকে তাচ্ছিল্য করে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন পাওয়ার।

তবে মজার ব্যাপার হলো, ছেত্রীর সঙ্গে এমন কাণ্ডের পর টুইটারে অনেকেই বলছেন, পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া দল পাওয়ারের সঙ্গে যা করেছিল, রাজনীতিবিদদের সঙ্গে এমনই করা উচিত।

ছেত্রী অবশ্য এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নিশ্চুপই আছেন। ফাইনালের পর ট্রফি হাতে স্ত্রী সোনম ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে টুইটারে লিখেছেন, ‘দুই দশকের অপেক্ষা একটু বেশিই, তবে সেটি যদি বেঙ্গালুরুর নীলেই ঘোচে, তাহলে এর আগের প্রতিটি মৌসুম চেষ্টা করাটা সার্থক। কোনো সেনাবাহিনী সদস্যের সন্তান পেশাদার ফুটবল খেলেও যদি “ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়নস” বলার সুযোগ না পায়, তাহলে ব্যাপারটি লজ্জারই হতো।’