ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপে নিজেকে উজাড় করে দেবেন বেল

কাতারে দারুণ কিছু করতে চান গ্যারেথ বেলছবি: টুইটার

৬৪—বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েলসের অপেক্ষা করতে হয়েছে এতগুলো বছর। স্বাভাবিকভাবেই ওয়েলসের কয়েকটি প্রজন্মের বিশ্বকাপে খেলার সৌভাগ্য হয়নি। গ্যারেথ বেল সে হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। ওয়েলসের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল করা এই ফুটবলার প্রথমবারের মতো খেলতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপ খেলার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভাগ্যবান দাবি করা বেলের আবার নিজেকে দুর্ভাগাও ভাবতে পারেন। কারণ, এমন একটা সময়ে বিশ্বমঞ্চে খেলার সুযোগ পেলেন, যখন পুরো ম্যাচ খেলতে পারবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চোটের সঙ্গে যদিও বেলের সখ্য অনেক দিনের। ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় বারবারই চোটের ধাক্কায় খেই হারাতে হয়েছে তাঁকে। চলতি বছরের জুনে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মেজর লিগ সকারের ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিতে যোগ দেওয়ার পর মাত্র দুটি ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন এই ওয়েলস ফরোয়ার্ড। সব মিলিয়ে খেলেছেন মাত্র ৩৭০ মিনিট। তবু ২০২২ বিশ্বকাপে ওয়েলস ভক্তদের স্বপ্নের সারথি বেলই।

বেলও তাঁর ফিটনেস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। ওয়েলস আছে বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘বি’তে। তাদের খেলতে হবে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে। ৯ দিনের ব্যবধানেই এই তিনটি ম্যাচে কি খেলতে পারবেন বেল? এমন প্রশ্নে বেলের সোজাসাপ্টা উত্তর—তিনি শতভাগ ফিট। স্কাই স্পোর্টসকে বেল বলেছেন, ‘আমি খেলার জন্য শতভাগ প্রস্তুত। আমার যদি তিন ম্যাচেই ৯০ মিনিট করে খেলতে হয়, খেলব।’

ওয়েলস দল
ছবি: টুইটার

এবারের বিশ্বকাপ হচ্ছে ক্লাব ফুটবলের মৌসুমের মাঝামাঝি। খেলার মধ্যেই থাকায় বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন অনেক বড় তারকা। চোটে ছিটকে পড়ার এই সময়টা বেল আর তাঁর সতীর্থদের জন্য বেশ কঠিন ছিল। চোটে পড়ার এতগুলো ঘটনা শোনার পর বেল সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করেছেন।

চোটে না পড়তে প্রার্থনার হাত তুলেছিলেন বলে জানিয়েছেন, ‘সবার জন্যই গত তিন চার সপ্তাহ খুব কঠিন ছিল। এমনকি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার ঘটনাও শুনতে হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে যেন চোটে না পড়ি, এর জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করেছি।’

ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন বেল। রিয়ালের হয়েই ৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ৩টি লা লিগাসহ জিতেছেন ১৬টি শিরোপা। ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপ খেলা ওয়েলসকে নিয়ে হয়তো বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখছেন না বেল। তবে নিঃসন্দেহে নিজেদের ফুটবলের স্বাক্ষর রেখে যেতে চাইবেন কাতারে। তেমন কিছু করার উদাহরণও অবশ্য ওয়েলসের আছে। ১৯৫৮ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেই যে সেমিফাইনালে খেলেছিল তারা।