ফিফা নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে উত্তপ্ত স্পেনের ফুটবল অঙ্গন। পদকমঞ্চে খেলোয়াড় হেনি হেরমোসোর ঠোঁটে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) প্রধান লুইস রুবিয়ালেসের চুমু খাওয়া নিয়ে যে উত্তাপের শুরু, সেটা বেড়েই চলেছে।

এ ঘটনায় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা রুবিয়ালেসের ওপর চটেছেন, ফিফা তাঁকে নিষিদ্ধও করেছে। এরপরও রুবিয়ালেসকে সমর্থন দিয়ে গেছেন বিশ্বকাপ জেতানো কোচ হোর্হে ভিলদা। রুবিয়ালেসের পাশে দাঁড়ানোই শেষ পর্যন্ত কাল হলো ভিলদার। তাঁকে বরখাস্ত করেছে আরএফইএফ। আজ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।

ফিফা রুবিয়ালেসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর পেদ্রো রোচাকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে আরএফইএফ। তাঁর নেতৃত্বাধীন নবগঠিত বোর্ডই ৪২ বছর বয়সী ভিলদাকে ছাঁটাই করেছে। তবে বরখাস্তের কারণ জানানো হয়নি।

এই ঘটনা নিয়ে টালমাটাল স্পেনের ফুটবল অঙ্গন
ছবি : টুইটার

বিবৃতিতে আরএফইএফ জানিয়েছে, ‘আমরা তাঁর (ভিলদা) অনবদ্য ব্যক্তিত্ব ও খেলা পরিচালনার দক্ষতাকে সম্মান জানাই, যা স্পেন নারী দলের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমরা তাঁর অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি।’

২০১৫ সালে স্পেন নারী দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ভিলদা। রুবিয়ালেসের চুমু–কাণ্ডের ঘটনায় কোচিং স্টাফের প্রায় সব সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও ভিলদা পদ আঁকড়ে ছিলেন।

আরও পড়ুন

‘চুমু-কাণ্ডে’ অনশনরত রুবিয়ালেসের মা হাসপাতালে

যদিও তোপের মুখে পরবর্তী সময়ে রুবিয়ালেসের পক্ষ নেওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর শিষ্য হেরমোসোর সঙ্গে হওয়া ঘটনাকে ‘অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য’ সম্বোধন করেছিলেন। তবে উপলব্ধিটা তাঁর একটু দেরিতে হয়েছে। স্পেনকে বিশ্বকাপ জিতিয়েও তাই ছাঁটাই হতে হলো ভিলদাকে।