ভারতকে আবারও নিষেধাজ্ঞার কড়া হুঁশিয়ারি ফিফার

অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাছবি: এক্স

ফুটবল ফেডারেশনে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে ২০২২ সালের আগস্টে ভারতকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। তিন বছরের ব্যবধানে আবারও নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় দেশটি। অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) যে কাল রাতে কড়া হুঁশিয়ারি বার্তা পাঠিয়েছে বিশ্ব ও এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও এএফসি!

এআইএফএফকে পাঠানো চিঠিতে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে ফিফা। ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে ভারতকে সব ধরনের ফুটবল থেকে নির্বাসনে পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তেমনটা হলে আগামী ১৮ নভেম্বর এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার অনুমতি পাবে না ভারত।

নিষিদ্ধ হলে আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারবে না ভারত
ছবি: এআইএফএফ

এআইএফএফের সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করা এবং বাস্তবায়নে বারবার দেরি হওয়ায় ফিফা ভীষণ উদ্বিগ্ন। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি ওঠার পর থেকেই ঝুলে আছে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও এআইএফএফের স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করা হয়নি। ফলে ভারতীয় ফুটবলে এক অপূরণীয় শূন্যতা এবং আইনি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে ফিফা।

আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে, নতুন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে ফিফা। ফেডারেশনের পরবর্তী সাধারণ সভার বৈঠকে নতুন সংবিধান প্রণয়নের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সবকিছুই ফেডারেশনকে স্বাধীনভাবে করতে হবে। কোনোভাবেই ভারত সরকারসহ তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।

ভারতীয় ফুটবলে আবারও বিপদের ঘনঘটা
ছবি: রয়টার্স

নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ফিফা ও এএফসির কাছ থেকে পাওয়া চিঠি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে পাঠাবেন কল্যাণ চৌবে। একই সঙ্গে জানানো হবে ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রীকে। এরপর দ্রুত রায় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে সুপ্রিম কোর্টকে।

২০১৭ সাল থেকে এআইএফএফের সংবিধান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সম্প্রতি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছেন, রায় তৈরি করা হয়েছে। তবে নতুন ক্রীড়ানীতি মেনে যেন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, সে জন্য রায় ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট তৃতীয় পক্ষের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে ভারতকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। ফেডারেশনের তৎকালীন সভাপতি প্রফুল প্যাটেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি নতুন নির্বাচন না দিয়ে অফিস চালিয়ে যাচ্ছিলেন, যা আইনের পরিপন্থী হিসেবে রায় দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর (ডানে) সঙ্গে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে
ছবি: এক্স

এরপর আদালতের নিযুক্ত প্রশাসক কমিটি ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান করতে থাকে। এই কমিটির কার্যাদেশ বাতিল করা হলে ১০ দিন পরই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ফিফা। কদিন পর ফেডারেশনের নতুন নির্বাচনে কল্যাণ চৌবে সভাপতি নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন