আফঈদা-সাগরিকারা পারলেও পারেননি অর্পিতারা

চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৮=৭ নারী দলবাফুফে

এক বছরে বাংলাদেশের ভিন্ন তিনটি দলের এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়ার ইতিহাসটা হলো না। আজ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপের বাছাই উতরে যাওয়ার জন্য জয় দরকার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু চায়নিজ তাইপেকে হারানো দূরের কথা, উল্টো আজ ম্যাচটা ৫-০ গোলে হেরে বসেছে কোচ সাইফুল বারীর দল।

গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের পর আগস্টে অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে নাম লেখায়। শুক্রবার রাতে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল চায়নিজ তাইপেকে হারাতে পারলে আগামী এপ্রিলে চীনে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেত। শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৭ নারী দল
বাফুফে

জর্ডানের আকাবা স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় চায়নিজ তাইপে। ডি-বক্সে ফাউল করায় বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি আনন্থিপ ফোপান। এই সুযোগে স্পটকিক থেকে গোল আদায় করে নেন তাইপের উ ক্যাই-শুয়ান।

১ গোলে পিছিয়ে থেকেও সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো ৩৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে। ফ্রি–কিক থেকে উড়ে আসা বল দারুণভাবে জালে জড়ান তাইপের মিডফিল্ডার চুং ইউন চিয়েন।

‎২ গোল হজম করে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর কয়েকটি গোছানো আক্রমণ করলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণ হতাশ করেছে সৌরভী আকন্দ-পূর্ণিমা মারমাদের। কয়েকটি আক্রমণ মাঝমাঠ পেরোনের পথেই রুখে দিয়েছে চায়নিজ তাইপে। ৫৫ মিনিটের পর আবার আক্রমণ শাণাতে থাকে চায়নিজ তাইপে। বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকিয়ে রীতিমতো  হয়রান। এর মধ্যে ৬৬ মিনিটে তৃতীয় গোলটিও করে নেয় তাইপে।

স্কোরলাইন ৩-০ হওয়ার পর বাংলাদেশের আশা শেষই হয়ে যায়। ম্যাচের বাকি ২০ মিনিটের খেলায় বাংলাদেশের শরীরী ভাষায়ও ছিল সেই ছাপ। ভুল পাস, বলের দখল হারানোর চিত্রই দেখা গেছে। এই সুযোগে যোগ করা মিনিটে আরও দুবার বাংলাদেশের জালে বল পাঠায় চায়নিজ তাইপে। শেষ পর্যন্ত ৫ গোলের বড় হার নিয়েই মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে জর্ডানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। ৩ মিনিটে ১ গোলে এগিয়ে থাকা ম্যাচে ৮৯ মিনিটে গোল হজম করে পয়েন্ট খোয়ায় তারা।