পর্তুগালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি কিনে কিসের ইঙ্গিত রোনালদোর
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাহলে জন্মভূমি পর্তুগালেই ফিরবেন? অবস্থাদৃষ্টে তো তা-ই মনে হয়।
কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো না গেলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অনুশীলনে ফিরেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি ছাড়তে পারেন আগামী জানুয়ারিতেই। বাজে ফর্ম ও বিতর্ক মিলিয়ে এমনিতেই ক্লাবটি ছাড়ি ছাড়ি করছেন রোনালদো।
এবার পর্তুগালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি কিনে ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো কি ইঙ্গিত দিলেন, তাঁর ক্যারিয়ারের শেষটা দেখা যাবে পর্তুগালেই? কে জানে, সময়ই বলে দেবে।
জন্মভূমি মাদেইরায় নয়, কুইন্তা দা মারিনহা অঞ্চলে নির্মানাধীন নিজের এই নতুন বাড়ি কিনতে রোনালদো ও তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের খরচ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার। বাড়ির সাজসজ্জা এবং সংস্কারে খরচ হয়েছে আরও ১ কোটি ডলার। অর্থাৎ, মোট ২ কোটি ১০ লাখ ডলারে কেনা এই বাড়ি পর্তুগালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি।
পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা পর্তুগিজ রিভেরার এই বাড়িতে রোনালদো ও জর্জিনা রদ্রিগেজ উঠতে পারেন আগামী বছরের শুরুতে—এমন খবরই জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রোনালদোর এ বাড়িতে নাকি বিলাসিতার কমতি থাকবে না। তিনতলা এ বাড়ি হবে ২ হাজার ৭২০ বর্গমিটার আয়তনের। থাকবে দৃষ্টিনন্দন বাগান ও সুইমিংপুল।
মাঠে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না রোনালদোর। প্রথম একাদশে জায়গা না পাওয়া, বদলি হিসেবে নামতে না চাওয়া, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া—বেশ কিছুদিন ধরে এমন অনেক কারণেই সংবাদের শিরোনাম হতে হয়েছে। এত সব ঘটনার পর অবশ্য রোনালদো এরিক টেন হাগের সঙ্গে বসে সব সমস্যার সমাধানও করছেন, ফিরেছেন অনুশীলনে। তবে অনুশীলনে ফিরলেও রোনালদো যে ইউনাইটেডের প্রথম একাদশে নিয়মিত জায়গা পাচ্ছেন না, সেটাও অনেকটা নিশ্চিত।
তাই আপাতত সব মিটমাট হলেও স্থায়ীভাবে পর্তুগিজ তারকার ইউনাইটেডে সুখী হওয়ার সম্ভাবনা কমই। জানুয়ারিতে তাঁর ইউনাইটেড ছাড়ার গুঞ্জন আবারও ডালপালা মেলেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রোনালদো ইউনাউটেড ছাড়লে তিনি ফিরতে পারেন পর্তুগালে তাঁর শৈশবের ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনে। ক্যারিয়ারের এই পড়ন্ত বেলায় তাঁর জন্য সেটাই হতে পারে ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু রোনালদোও কি এমন ভাবছেন? পর্তুগালে এখন বাড়ি কেনা কিসের ইঙ্গিত?