ব্রাজিলের ২৩-এ ২৩, আর্জেন্টিনা–জার্মানি খেলেছে কয়টি বিশ্বকাপ
সবগুলো বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র দল ব্রাজিল।
২০২৬ বিশ্বকাপেও জায়গা করে নিয়ে বাক্যটি বদলানোর সুযোগ দিল না ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে নিজেদের কাজটা করে রেখেছিল রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। পরে উরুগুয়ে ভেনেজুয়েলাকে হারানোতেই নিশ্চিত হয়ে যায় সেলেসাওদের ২৩তম বিশ্বকাপ খেলা। বাছাইপর্বে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ১২তম দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট কাটল ব্রাজিল।
সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলায় ব্রাজিলের পরেই আছে ইউরোপীয় পরাশক্তি জার্মানি। চারবারের চ্যাম্পিয়নরা ২০২২ সাল পর্যন্ত খেলেছে ২০টি বিশ্বকাপে। ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব এখনো শুরুই হয়নি জার্মানদের। সর্বশেষ ১৮টি বিশ্বকাপেই চূড়ান্ত পর্বে যাওয়া জার্মানি সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেনি ১৯৫০ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভূমিকার কারণে সে সময়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ ছিল জার্মানি। এ ছাড়া ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলে দলটি।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এবার সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনা আছে তিনে। ১৯তম বার বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পেরোতে পারেনি শুধু একবারই। ১৯৭০ সালে বাছাইপর্বে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোকে। এক নম্বর গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গী ছিল পেরু ও বলিভিয়া। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে কাঠামোয় চারটি ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়ে গ্রুপে তৃতীয় হয়ে বাদ পড়ে তখনো কোনো বিশ্বকাপ না জেতা আর্জেন্টাইনরা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে যায় পেরু।
১৯৩৮ থেকে ১৯৫৪—এই তিন বিশ্বকাপেও ছিল না আর্জেন্টিনা। টানা দুবার ইউরোপীয় দেশকে স্বাগতিক করায় ১৯৩৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে নাম প্রত্যাহার করে আর্জেন্টিনা। ১৯৫০ সালে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে বাছাইপর্ব থেকে নাম কাটায় দলটি। ১৯৩৮ সালে কেন তাদের স্বাগতিক করা হলো না, পুরোনো এই দুঃখের কথা মনে করে ১৯৫৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকেও সরে দাঁড়িয়েছিল আর্জেন্টাইনরা।
সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ায় এরপরই আছে ইতালি। ২০১৪ সালের পর আর বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া চারবারের চ্যাম্পিয়নরা বিশ্বকাপ খেলেছে ১৮ বার। সর্বশেষ দুবার বাছাইপর্ব পেরোতে না পারা দলটি ১৯৩০ ও ১৯৫৮ সালেও ছিল না বিশ্বকাপে।
১৮তম বারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে ২০২৬ বিশ্বকাপের অন্যতম স্বাগতিক মেক্সিকো। মেক্সিকানরা সর্বশেষ বিশ্বকাপে ছিল না ১৯৯০ সালে। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বেশি বয়সী খেলোয়াড় নামিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিল দলটি।