ভালো খেলেও হার বাংলাদেশের মেয়েদের

চীনা তাইপের বিপক্ষে লড়াই করেও হার এড়াতে বাংলাদেশবাফুফে

প্রায় নতুন চেহারার এক দল নিয়ে চীনা তাইপের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও পরীক্ষা–নিরীক্ষার পথেই হেঁটেছেন মেয়েদের ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমস পিটার বাটলার। মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকাররা তো নেই–ই, আজ বাংলাদেশ মাঠে নামে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মাসুরা পারভীনদের ছাড়া।

তবে প্রথম প্রীতি ম্যাচে ৪–০ গোলে হারলেও আজ ভালোই লড়াই করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বুটে বুটে টক্কর দিয় প্রতিপক্ষকে চাপে রাখলেন। তবে এড়ানো যায়নি হার। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা চীনা তাইপের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দল হেরেছে ১–০ গোলে।

আরও পড়ুন

প্রথম ম্যাচের তুলনায় এ ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণ ছিল বেশ আঁটসাঁট। অধিনায়ক শিউলি আজিম, আফঈদা খন্দকার, শামসুন্নাহার সিনিয়ররা চীনা তাইপেকে খুব একটা সুযোগ দেননি। দু–একটা ফাঁকফোকর তৈরি হলেও বাংলাদেশের রক্ষণ সেগুলোকে ভালোভাবেই সামলেছে। তবে আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা চীনা তাইপের সু–ইউ সুন আজও রক্ষণভাগকে বেগ দিয়েছেন।

শুরুর দিকে চীনা তাইপে গোল হওয়ার মতো কিছু আক্রমণ করলেও বাংলাদেশের রক্ষণ ও গোলকিপার রুপনা চাকমা ছিলেন তৎপর। তার মধ্যেই ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। চমৎকার এক দলীয় বোঝাপড়ার ফসল বলতে পারেন গোলটিকে। চেন হিয়াং হুই, সু–ই ইউন, সু–সিন ইউন ও লিন ইয়া সুনের পা ঘুরে বাংলাদেশের ডি–বক্সে বল পেয়ে যান সুই–ইউ সুন। বাকি কাজটা করেছেন সহজেই (১–০)।

তাইপের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা
বাফুফে

পিছিয়ে পড়ার পরই গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটের পর থেকে চীনা তাইপের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। মনিকা চাকমা দুর্দান্ত খেলেছেন আগাগোড়াই। ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার, তহুরা খাতুন, স্বপ্না রানীরা বল পায়ে রেখে আক্রমণ সাজানোর চেষ্টা করেছেন। ২৭ মিনিটে স্বপ্না চীনা তাইপের বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন। অল্পের জন্য সেটি চীনা তাইপের ক্রসবারে বাতাস লাগিয়ে বাইরে চলে যায়।

আরও পড়ুন

পরের মিনিটেই মনিকা চাকমার পাস ধরে ঋতুপর্ণা চাকমা বক্সের মধ্যে দারুণ এক কাটব্যাক করেন। কিন্তু শামসুন্নাহার সেটি ধরতে পারেননি। তিনি ঠিক জায়গায় থাকলে বাংলাদেশ গোলও পেতে পারত। ২৯ মিনিটে মুনকির প্রচেষ্টা বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধেই আনাই মোগিনির জায়গায় নিলুফা ইয়াসমিনকে মাঠে নামানো হলে বাংলাদেশের আক্রমণের ধার বাড়ে। মাঠ বড় করে খেলার একটা প্রচেষ্টাও দেখা যায়। রক্ষণের খেলোয়াড়েরা ওপরে উঠে আক্রমণে সহায়তা করেছেন।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের আধিপত্য বাড়ে। এই অর্ধে বাংলাদেশের কাছে বলের দখলও বেশি ছিল। ঋতুপর্ণা, স্বপ্না রানী ও মনিকা চাকমা চীনা তাইপের রক্ষণভাগকে রীতিমতো ব্যতিব্যস্ত রাখেন। তহুরার জায়গায় মাঠে নেমে গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলেন সাবিনা।

বাংলাদেশ নারী দলের দায়িত্ব নিয়ে কোচ আগেই বলেছিলেন, এ দুই ম্যাচের ফল তাঁর কাছে কোনো বিষয় নয়। তিনি দলের কাছে সন্তোষজনক পারফরম্যান্স চান। র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা চীনা তাইপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পারফরম্যান্স সে রকম না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচের পারফরম্যান্সে কোচের খুশিই হওয়ার কথা।