ফ্রান্সে নেইমারের কড়া সমালোচনা
রেঁনের বিপক্ষে পরশু রাতে পিএসজির ১-০ গোলে হারের ম্যাচে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার মাঠে ছিলেন। কিন্তু হারের পর ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লেকিপ’ তুমুল সমালোচনা করেছে নেইমারের। ২০১৭ সালে দলবদলে দামের (২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো) বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে বার্সেলোনা থেকে উড়িয়ে এনেছে পিএসজি। কিন্তু এত দামে নেইমারকে এনে পিএসজির কতটা লাভ হয়েছে, ফরাসি ক্লাবটিতে পাঁচ মৌসুম কাটিয়ে দেওয়ার পর ব্রাজিল ফরোয়ার্ডকে নিয়ে এই প্রশ্ন তুলেছে লেকিপ।
নেইমার এ মৌসুমে পিএসজির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে ১৫ গোল করেছেন। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১৩ গোল। আগের পাঁচ মৌসুম মিলিয়ে পিএসজির হয়ে নেইমার এ পর্যন্ত চারবার লিগ জিতেছেন। ঘরোয়া আরও কয়েকটি প্রতিযোগিতার ট্রফি জিতেছেন পিএসজির হয়ে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেননি। অথচ আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততেই স্কোয়াডকে ‘চাঁদের হাট’ বানিয়েছে পিএসজি। নেইমার সেই ‘চাঁদের হাট’ বানানোর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তুর ছিলেন।
কাঙ্ক্ষিত সে ইউরোপসেরার টুর্নামেন্ট এখনো জিততে না পারায় নেইমারকে নিয়ে এমনিতে সমালোচনা কম হয় না। প্রতি দলবদলের মৌসুমেই তাঁর পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যায়। হয় পিএসজি তাঁকে বেচে দিতে চায় কিংবা নেইমার ক্লাব ছাড়তে চান—সংবাদমাধ্যমে এমন কথা নতুন কিছু না।
এবার লেকিপের সমালোচনার ভাষা বেশ কড়া, ‘সপ্তাহের মাঝে অঁজের বিপক্ষে ম্যাচের মতো ব্রাজিলিয়ান তারকা বল পেতে বেশি নিচে নেমেছেন। নিজে নিজেই পার্থক্য গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অনেক সময়। ফলে কঠিন কিছু জায়গায় বল হারিয়েছেন এবং রেঁনের সীমানায় কোনো বিপদ তৈরি করতে পারেননি। বায়ার্নের মুখোমুখি হওয়ার মাসখানেক আগে এমন পারফরম্যান্স দুশ্চিন্তার।’ লেকিপ বায়ার্ন মিউনিখের উদাহরণ টেনেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ সামনে রেখে। টুর্নামেন্টটির শেষ ষোলোয় পিএসজির প্রতিপক্ষ জার্মান ক্লাবটি। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম লেগ, ফিরতি লেগ ৮ মার্চ।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘আরএমসি’র সংবাদকর্মী দানিয়েল রিওলোও নেইমারের তুমুল সমালোচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা কি বুঝতে পারছি, বেতন ও দলবদল খরচ বিবেচনায় নেইমার ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা? এর চেয়ে বড় ব্যর্থতার নজির আমার মাথায় নেই।’
এবার মৌসুমে দারুণ শুরু করেছিলেন নেইমার। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে চোট পাওয়ার পর এখনো নিজের সেরা ফর্মে ফিরতে পারেননি। এ ছাড়া গত ২৮ ডিসেম্বর স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় পরের দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি।