ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ, ‘এটা মাত্র শুরু’

ব্রাজিলের নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়রএএফপি

দরিভাল জুনিয়রের ব্রাজিল-অধ্যায়ের শুরুটা এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারত! হোক না প্রীতি ম্যাচ, ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে ১-০ গোলে পাওয়া জয় তো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্যই বিশেষ কিছু!

ইংল্যান্ডের মাটিতে গতকালের আগে ১২টি ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। এর মধ্যে মাত্র দুটিই জিততে পেরেছে তারা, ১৯৮১ সালের পর ১৯৯৫ সালে। ১৯৯৫ সালের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে আরও চারটি ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। এর মধ্যে তিনটিতে ড্র করেছে, অন্যটিতে হেরেছে।

ব্রাজিলের কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েই প্রায় অজেয় ইংল্যান্ড-দুর্গ জয় করেছেন দরিভাল। আবেগময় এই জয়ের পর ব্রাজিলের নতুন কোচ তাঁর আগামীর প্রতিপক্ষদের একটি হুমকিই যেন দিয়ে রাখলেন এই বলে যে এটা মাত্র শুরু!

আরও পড়ুন

ওয়েম্বলিতে গতকাল ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে দরিভাল বলেছেন, ‘নিশ্চিত করেই এটা বিশেষ এক মুহূর্ত। ইংল্যান্ডের মাটিতে এর আগে ব্রাজিলের অল্প কয়েকটি ম্যাচ জয়ই আমাদের (এই দলের) সম্পর্কে ধারণা দেয়। কিন্তু এটা থেকে সরে গেলে চলবে না যে আমাদের কাজের মাত্র শুরু।’

চোটের কাছে নেইমার, আলিসন, এদেরসনদের মতো দলের নিয়মিত খেলোয়াড়দের হারানো দরিভাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর একাদশে পাঁচজনকে অভিষেক করান। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই ছেলেদের ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস আছে। এই দলের কাছ থেকে আমি আরও অনেক কিছু আশা করছি। কিন্তু আমি মনে করি, এটা (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়) দেখিয়েছে যে আমরা কত দূর যেতে সক্ষম।’

আরও পড়ুন
ব্রাজিলকে এগিয়ে দেওয়া গোলের পর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে উদ্‌যাপন এনদ্রিকের (বাঁয়ে)
এএফপি

পুরো ম্যাচেই দুর্দান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেওয়া ব্রাজিলকে জয় এনে দিয়েছে ৮০ মিনিটে এনদ্রিকের গোল। বদলি হিসেবে নেমে গোলটি করেছেন ব্রাজিলের তরুণ ফরোয়ার্ড। এনদ্রিক গোলটি করেছেন ১৭ বছর ২৪৬ দিন বয়সে। এটা তাঁকে ওয়েম্বলিতে ছেলেদের সিনিয়র ফুটবলে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা বানিয়েছে। একই সঙ্গে ১৯৯৪ সালে রোনালদো নাজারিওর পর ব্রাজিলের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতাও হয়ে গেছেন তিনি। ১৯৯৪ সালে রোনালদো যখন আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটি করেন, তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস ১২ দিন।

ম্যাচ শেষে দরিভাল এনদ্রিককেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত সে যে মনোভাব দেখিয়েছে, ব্রাজিল ও বিশ্ব ফুটবলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এক নাম হতে পারে।’