বিদেশের লিগে প্রথম বাংলাদেশি কোচ আজমল

বিদেশের লিগে প্রথম বাংলাদেশের প্রথম কোচ আজমলছবি: সংগৃহীত

আজমল হোসেন বিদ্যুৎই তাহলে প্রথম!

বাংলাদেশের কোন ফুটবল কোচ বিদেশের কোনো ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন এর আগে। দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নেই। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো কোচ বিদেশি দলের কোচ হয়েছেন। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় আজমল হোসেন (বিদ্যুৎ) ভুটানের প্রিমিয়ার লিগের নবাগত ক্লাব থিম্পু রেভেন এফসির কোচ হয়েছেন।

১১ দলের ভুটান প্রিমিয়ার লিগ এ মাসের মাঝামাঝি শুরু হবে। আজমলের সঙ্গে রেভেন এফসির চুক্তি পাঁচ মাসের। কলকাতা থেকে দুজন সহকারী নেবেন আজমল। গতকাল সন্ধ্যায়ই তিনি থিম্পুর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন কলকাতা হয়ে। দুই সহকারীকে নিয়ে আজ রাতে তাঁর ভুটান পৌঁছানোর কথা।

এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ আজমল এখন কাজ করবেন ভুটানে
ছবি: সংগৃহীত

ভুটানের ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ কীভাবে হলো, সে প্রসঙ্গে আজমল প্রথম আলোকে বলে গেছেন, ‘ভারত থেকে আমাদের সঙ্গে ঢাকায় এএফসির কোচিং লাইসেন্স করেছেন ভুটানের প্রিমিয়ার ডিভিশনের একটি ক্লাবের কোচ। তিনি কলকাতার বাসিন্দা স্বপন বিশ্বাস। তাঁর মাধ্যমে সুযোগটা হয়েছে। আমি সব কাগজপত্র পাঠালে ভুটানের রেভেন এফসি আমাকে পছন্দ করেছে।’

এশিয়ায় ক্লাব স্তরে শীর্ষ লিগে প্রধান কোচ হতে এএফসির ‘এ’ কোচিং সনদ লাগে। এই সনদ আজমলের আছে। তাই সুযোগটা গ্রহণ করেছেন। যদিও দেশের বাইরে গিয়ে কোচিং করানো একটা চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ উতরানোর ব্যাপারে আশাবাদী আজমল, ‘বাংলাদেশের ফুটবলাররা বিদেশি লিগে খেলেছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোচদের বিদেশে কাজ করার সুযোগ হয় না। আমার আগে কেউ বিদেশে কোচ হিসেবে কাজ করেনি। আমিই প্রথম। এই সুযোগ পেয়ে কিছুটা চমকেই গেছি।’

আজমল যখন দেশের ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে খেলতেন
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে আজমল ২০১৯ সালে আরামবাগের সহকারী কোচ ছিলেন। ৪টি ম্যাচ ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ ছিলেন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে কোচ কাম খেলোয়াড় হিসেবে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে প্রথম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন করে তুলে আনেন পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে। গত বছর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর) অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কোচ ছিলেন। চট্টগ্রাম প্রথম বিভাগে নওজোয়ান ক্লাবে কোচ ছিলেন দুই বছর।

১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগে খেলেছেন আজমল। আরামবাগ, ফরাশগঞ্জ, আবাহনীর পর টানা ১১ বছর কাটান মুক্তিযোদ্ধায়। ফেনী সকারে খেলেছেন ২ বছর। বয়সভিত্তিক বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে ২০০৪ সালে থেকে দেশের হয়ে কয়েকটি ম্যাচও খেলেছেন।

নারায়ণগঞ্জে তাঁর বাড়ি প্রয়াত ফুটবল তারকা মোনেম মুন্নার বাড়ির পাশেই। মুন্নাকে দেখেই ফুটবলে এসেছিলেন তিনি। বিদেশের মাটিতে কোচিং করাতে যাওয়ার আগে আজমলের খুব করেই মনে পড়েছে প্রয়াত ‘কিং ব্যাকে’র কথা।