সিরিয়াল কিলারের নামে গ্যালারির নাম, বিপাকে ইংলিশ ক্লাব

ইংল্যান্ডের পঞ্চম স্তরের ক্লাব সাউথএন্ড ইউনাইটেডের মাঠ রুটস হলছবি: সাউথইন্ড ইউনাইটেড টুইটার

সাউথএন্ড ইউনাইটেড—ইংল্যান্ডের ফুটবলে পঞ্চম স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ক্লাব। এসেক্সের সাউথএন্ড-অন-সি অঞ্চলে ক্লাবটির স্টেডিয়াম রুটস হল, যার পশ্চিম পাশের গ্যালারির নাম ‘গিলবার্ট অ্যান্ড রোজ ওয়েস্ট স্ট্যান্ড’।

রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান গিলবার্ট অ্যান্ড রোজের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তির কারণে গ্যালারির নামকরণ করা হয় এই নামে। বিপত্তিটাও ঠিক এই নামেই।

ক্লাবটির গ্যালারির এই নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। কারণ, ইংল্যান্ডের অন্যতম কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলারে’র (ক্রমিক খুনি) নামের সঙ্গে গ্যালারির নামের মিল রয়েছে। সাউথএন্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই গ্যালারির নাম পাল্টানো হবে।

ষাটের দশকে ব্রিটিশ নাগরিক রোজ ওয়েস্ট ও তাঁর স্বামী ফ্রেড ওয়েস্ট গ্লুস্টারে নিজেদের বাসায় নৃশংস সব খুন করেন। ২০ বছর ধরে এই দম্পতি ঠিক কতগুলো খুন করেছেন, তার সঠিক হদিস পাওয়া যায়নি। রোজ ওয়েস্ট এখন পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের কারাগারে জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৯৫ সালে ১০টি খুনের দায়ে আজীবন কারাবাসের শাস্তি পান রোজ। সে বছরই জেলে আত্মহত্যা করেন তাঁর স্বামী ফ্রেড।

সিরিয়াল কিলার দম্পত্তি ফ্রেড ওয়েস্ট ও রোজ ওয়েস্ট
ছবি: টুইটার

খেলাধুলার সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন এ বিষয়ে সাউথএন্ড ইউনাইটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো মন্তব্য পায়নি। তবে ক্লাবটির চেয়ারম্যান রন মার্টিন পরে সংবাদমাধ্যম ‘টকস্পোর্ট’কে বলেছেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। গিলবার্ট অ্যান্ড রোজ খুশি হতে পারে যে সংবাদমাধ্যমে তারা আলোচিত হচ্ছে, কিন্তু এটা ক্লাবের জন্য ভালো কিছু নয়।’ রন মার্টিনের ব্যাখ্যা, ‘ক্লাবের বাণিজ্যিক বিভাগের কেউ সেই ভয়ংকর ঘটনার সময় জন্ম নেয়নি। সম্ভবত এ কারণেই বিপত্তিটা ঘটেছে।’

তবে দায় মেনে নিচ্ছেন সাউথএন্ডের এই চেয়ারম্যান, ‘সত্যি বলতে সিনিয়র পর্যায়ের কারও বিষয়টি খেয়াল করা উচিত ছিল। কিন্তু কেউ তা করেনি। পরশু রাতে বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, আমরা গ্যালারির নাম পাল্টে “দ্য ওয়েস্ট স্ট্যান্ড স্পনসরড বাই গিলবার্ট অ্যান্ড রোজ’ রাখব। এ বিষয়ে ক্লাবের প্রধান নির্বাহী টম লরেন্সের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা অবশ্যই নামটি পাল্টাব।’

গ্যালারির ওই অংশের প্রায় তিন হাজার সিজন টিকিটও বিক্রি করেছেন সাউথএন্ড। এসব টিকিটে ‘গিলবার্ট অ্যান্ড রোজ ওয়েস্ট স্ট্যান্ড’ লেখা থাকলেও তা পাল্টানোর প্রয়োজন মনে করছেন না রন মার্টিন। তাঁর চোখে ‘এটা সম্ভাব্য অপ্রয়োজনীয় খরচ’। তবে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সাউথএন্ড চেয়ারম্যান, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক ও হতাশার। তবে ভুল তো হয়ই। সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’